লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে এসেছে, হাতে গোনা মাত্র কয়দিন তারপরেই শুরু হবে রাজনৈতিক দলের তুমুল লড়াই। রাজনৈতিক নির্বাচন সামনে আসছে সেইদিকে লক্ষ কংগ্রেস তাদের ভণ্ডামি আবার শুরু করে দিয়েছে। কংগ্রেস পার্টি ও তাদের সহযোগী নির্বাচন জয়ের জন্য কতটা নীচে নামছে তা এখন স্পষ্টতই সামনে আসতে শুরু হয়েছে। বিগত দুদিন ধরে EVM নিয়ে হাঙ্গামা শুরু করেছে কংগ্রেসীরা। কংগ্রেস EVM কে ঘিরে ফেলার জন্য এবং বিজেপিকে প্রশ্নের মুখে ফেলার জন্য পুষে রাখা মিডিয়াকেও মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। যে EVM মেশিনের নির্বাচনে কংগ্রেস তিনটি রাজ্যে(মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান) জয়লাভ করছে সেই মেশিন নিয়ে এখন হাঙ্গামা করছে কংগ্রেস।
হাঙ্গামা এমন এক ব্যক্তির বক্তব্যের উপর করা হচ্ছে, যে তার বক্তব্যের ভিত্তিতে কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। যারা(মোদী বিরোধীরা) সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হয়েছে কিনা তার উপযুক্ত প্রমান চেয়ে বেড়াই তারাই আজ শুধুমাত্র একটা অজ্ঞাত ব্যাক্তির বক্তব্য বিনা প্রমান ছাড়াই EVM কে হ্যাক করা যায় বলে মেনে নিয়েছে। হ্যাকারের নাম রাখা হয়েছে সৈয়দ সুজা, এর জন্য ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে এক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছিল। সৈয়দ সুজা সেখানে বিনা প্রমাণের ভিত্তিতে দাবি করে যে EVM হ্যাক করা সম্ভব এবং ২০১৪ সালে মোদী EVM হ্যাক করে নির্বাচন জিতেছে।
সৈয়দ সুজা বলে যে সে ভারতে EVM মেশিন হ্যাক করার জন্য এসেছিল। সৈয়দ সুজার এই বক্তব্যকে অনেকে প্রমান ছাড়াই সত্য মেনে নিয়েছে এবং মোদীকে গালিগালাজ দিতর শুরু করে দিয়েছে। জানিয়ে দি, লন্ডনের এই কার্যক্রম নিয়ে দেশের দালাল মিডিয়া বেশকিছু জিনিস লাগাতার জনগনের কাছে থেকে লুকিয়ে যাচ্ছে। যা জানার পর যে কেউ কংগ্রেসের ভণ্ডামিকে ধরে ফেলতে সক্ষম হবে।
প্রথম বিষয় এই যে, ওই অনুষ্ঠানে কপিল সিব্বাল উপস্থিত ছিলেন যিনি কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা। দ্বিতীয় বিষয়- লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই কার্যক্রমের আয়োজক ছিলেন আশীষ রে। এই আশীষ রই কপিল সিব্বালকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই আশীষ রে ন্যাশনাল হেরাল্ড এর সাংবাদিক। ন্যাশনাল হেরাল্ড কংগ্রেসের আধিকারিক সংবাদ মাধ্যম। অর্থাৎ সোজা ভাষায় আশীষ রে কংগ্রেসের এক সক্রিয় কার্যকর্তা যিনি কংগ্রেসের আধিকারিক পত্রিকা ন্যাশনাল হেরাল্ডে কাজ করেন।
কংগ্রেসের আধিকারিক সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল হেরাল্ড এর ওয়েবসাইটে আশীষ রে নামক ব্যাক্তির পুরো প্রোফাইল দেওয়া রয়েছে যা আপনার ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারেন। শুধু এই নয় আপনাদের স্মরণ করিয়ে দি, ২০১৮ সালে রাহুল গান্ধী লন্ডনে গিয়ে বেশকিছু কার্যক্রম করেছিলেন এবং সেই সময় কংগ্রেসের পুরানো কার্যকর্তা আশীষ রে এর সাথেও দেখা করেছিলেন। তখন থেকেই EVM নিয়ে মোদী ঘেরার জন্য পরিকল্পনা চলছিল যার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন বরিষ্ঠ নেতা কপিল সিব্বাল। কিন্তু ডিরেক্টর কপিল সিব্বালের নেতৃত্বে স্ক্রিপ প্রদর্শন করেও হাতে নাতে রাষ্ট্রবাদীদের চোখে ধরা পড়ে গেছেন আশীষ রে।
দেশের দালাল মিডিয়া এবং কংগ্রেস এখন EVM ইস্যুতে মোদী বিরোধীতাই নেমে পড়েছে এবং জনগণের মধ্যে গুজব ছড়ানোর জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্য মোদীর বিরোধীতা করা রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক অধিকার কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে রাহুল গান্ধী দেশের নির্বাচন কমিশন এবং লোকতন্ত্রকে বিশ্বজুড়ে বদনাম করার প্রয়াস করেছেন যা কোনো দেশদ্রোহীতার থেকে কম অপরাধ নয়।
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2CD8R3X
Bengali News