-->
Powered by Blogger.

Featured post

রুশ ইউক্রেনের টক্কর এখন অতীত! পাকিস্তানের মাটিতে পড়ল ভারতের সুপারসনিক মিসাইল

“বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট”-ভারতের (India) ডিফেন্স মিনিস্টার থেকে সম্প্রতি এক বার্তা আসার পর বিশেষজ্ঞরা একথা বলছেন। শুক্রবার পাকিস্তান...

Popular Posts

রানিগঞ্জে পুরোনো বাড়ি ভাঙা হোক, চাইছে নাগরিক সমিতি

- October 03, 2017
জীর্ণ বাড়ি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনও সময়৷ অতীতে এমন উদাহরণের অভাব নেই৷ তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রাচীন ভগ্নপ্রায় বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা দরকার , এমনটাই চাইছেন শহরের বিশিষ্ট বাসিন্দারা৷ সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি রানিগঞ্জের ব্যবসায়ী , অধ্যাপক , বণিকসভার সদস্য থেকে নাগরিক সংগঠনের সদস্যরা৷ ইতিমধ্যে ৪৩টি বাড়ি চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ৷ রানিগঞ্জে এই ধরনের বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে যদি কোনও ভাবে তাঁদের সাহায্য লাগে তাহলে পুরসভার পাশের থাকার কথা জানিয়েছেন শহরের বিশিষ্টজনেরা৷ জেলার প্রাচীন শহরগুলির মধ্যে অন্যতম রানিগঞ্জ৷ শুধুমাত্র কয়লা খনি বা বড় ব্যবসা ক্ষেত্র হিসেবে নয় , এক সময় রানিগঞ্জে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল৷ ফলে তখনও যে শহর বেশ জমজমাট ছিল তা বোঝা যায়৷ এমনকি আসানসোলের আগে রানিগঞ্জ ছিল মহকুমা শহর৷ তখনকার বাড়িগুলি বর্তমানে জীর্ণদশায় পরিণত হয়েছে৷ এখানে ৭০ থেকে ১০০ বছরের বাড়ির সংখ্যা অনেক৷ সেই বাড়িগুলির বেশির ভাগই নিয়মিত সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ার অবস্থায় রয়েছে৷ এই বাড়িগুলিই ভেঙে দিতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ৷ কিন্ত্ত এ ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে অনেক৷ আবার শরিকি সমস্যাও প্রচুর৷ এই পরিস্থিতিতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সমস্ত মানুষ এগিয়ে এলে কাজটা অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল৷ যদিও মৌখিক ভাবে সকলে আশ্বাস দিলেও কার্যক্ষেত্রে কতজন পাশে এসে দাঁড়াবেন সেটাই এখন দেখার৷
নাগরিক সমিতির সম্পাদক রবীন্দ্র সিং বলেন , ‘প্রথমে ওই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের বোঝাতে হবে যে , এখানে বসবাস করলে শুধু তাঁদের নয় , অন্যেরও বিপদ হতে পারে৷ সচেতনতার মাধ্যমেই সমাধানের জায়গায় পৌঁছতে হবে৷ ’ আর আর রোডের বাসিন্দা সমাজকর্মী দীনেশ গুন্তা বলেন , ‘এটা রানিগঞ্জের একটা বড় সমস্যা৷ আগে চুন সুড়কি দিয়ে বাড়ি তৈরি হত৷ তার তো একটা জীবন আছে৷ সেই সঙ্গে বাড়িগুলি সংস্কারের অভাব স্পষ্ট৷ তাই দুর্ঘটনা এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা উচিত৷ ’ রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের প্রধান উপদেষ্টা রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান বলেন , ‘বছর তিনেক আগে সীতারাম ভবনের কাছে প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো একটি বাড়ি আচমকা ভেঙে পড়ে৷ সেই সময় অবশ্য প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্ত্ত এ ভাবে বাড়ি ভেঙে পড়লে প্রাণহানি হতেই পারে৷ ‘সি আর রোড এবং এন এস বি রোডে দু’টি বিপজ্জনক বাড়ি আমরা ভেঙে দিয়েছি৷ এ ছাড়া ৪৩টি বাড়িকে আমরা নোটিস দিয়েছি৷ বাকি বাড়িগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে৷ এই সব বাড়ির অধিকাংশ এনএসবি রোড , এমজি রোড , সিআর রোড , ইস্ট কলেজ পাড়া , কুমার বাজার , গীর্জা পাড়া , শিয়ারসোলে রয়েছে৷ শুনানির পর নোটিস দেওয়া হবে৷ তার পর বাড়ির মালিকরা না ভাঙলে পুরসভার পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হবে৷ ’ (চলবে )রানিগঞ্জে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্তে খুশি বণিকসভা ও বিশিষ্ট জনেরা শহর কলকাতা কিংবা আসানসোল , বিপজ্জনক বাড়ি মাথাব্যথার কারণ হয়েছে প্রশাসনের৷ কোথাও মাথা গোঁজার অন্য জায়গা নেই, কোথাও আইনি জটিলতায় বাধা পাচ্ছে বাড়ি ভাঙার কাজ৷ গত রবিবার শহরের প্রধান বাজারে একটি বাড়ি ভেঙে পড়তেই ফের এ নিয়ে শোরগোল উঠেছে৷ শহরে বিপজ্জনক বাড়ির চিত্র ঠিক কী ? আজ তৃতীয় কিস্তিজীর্ণ বাড়িরানিগঞ্জের এনএস রোডে একটি বিপজ্জনক বাড়ি৷
Source: বিশ্বদেব ভট্টাচার্য (Eisamay)
 

Start typing and press Enter to search