লোকসভা নির্বাচনে হাতে ১০০ দিনের থেকেও কম সময় রয়ে গেছে। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে EVM নিয়ে লন্ডন থেকে নান দাবি আসতে শুরু হয়েছে। নিজেকে সাইবার এক্সপার্ট বলে দাবি করা সৈয়দ সুজা মন্তব্য করেছেন যে ২০১৪ সালের নির্বাচনে EVM হ্যাক করা হয়েছিল। সৈয়দ সুজা নিজের আসল পরিচয় গোপন করে এবং মুখে কালো কাপড় বেঁধে লন্ডনে মিডিয়ার সামনে এসেছিল এবং EVM হ্যাকিং এর মন্তব্য করেছিল। এরপর দেশের দালাল বিক্রিত সংবাদমাধ্যমগুলি কোনো প্রমাণ ছাড়াই, সৈয়দ সুজার আসল পরিচয় জানার চেষ্টা না করেই EVM কে গালিগালাজ দিতে শুরু করে। ২০১৪ সালে মোদীর জয়ের পেছনে এই হ্যাকিং ছিল বলে দাবি জানায় বিক্রিত দালাল মিডিয়া।
এই ইস্যুতে রাষ্ট্রবাদী সাংবাদিক সুধীর চৌধুরী EVM হ্যাকিং এর দাবিকে মিথ্যা অভিযোগ বলেন মন্তব্য করেন। সুধীর চৌধুরী বলেন যে সমস্ত ডিজাইনার পত্রকার, বুদ্ধিজীবি, নেতাবর্গ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের উপর প্রমান চেয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তারা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক হ্যাকারের কাছে প্রমান না চেয়ে কিভাবে তৎক্ষণাৎ তার দাবি বিস্বাস করে নিল। কোনো প্রমাণ ছাড়াই অজ্ঞাত তথাকথিত হ্যাকারকে দাবিকে কেন মেনে নেওয়া হলো এই নিয়ে কটাক্ষ করেন সুধীর চৌধুরী।
জানিয়ে দি, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে EVM হ্যাকিং কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস ও বামপন্থীরা এই ইস্যুতে লাগাতার বিরোধ করে এসেছে। কংগ্রেস চাই দেশে EVM এর পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ভোটিং হোক যাতে তারা তাদের কট্টরপন্থী সমর্থকদের দিয়ে বুথে মার পিট দাঙ্গা করিয়ে কিছু ভোট টেনে নিতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন এই হ্যাকিং এর পুরো কাহিনী কংগ্রেস লিখেছে এবং কংগ্রেসের ইশারাতেই এই সমস্ত নাটক করা হয়েছে।
জানিয়ে দি EVM হ্যাকিং নিয়ে আরো একটা বড় পর্দাফাঁস হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, লন্ডনে আসিস রই নামে যে ব্যক্তি এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছিলেন তিনি ন্যাশনাল হেরাল্ডের একজন সাংবাদিক এবং একইসাথে কংগ্রেসের একজন কার্যকর্তা। এমনকি ওই অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলও উপস্থিত ছিলেন।
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2S6wnQA
Bengali News