ইন্দোরঃ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর পুলিশ মহিলার অভিযোগে এক ঠগবাজ পীরবাবাকে গ্রেফতার করেছে। ওই পীর নোট ডবল আর রোগ দূর করার দাবি করত। অনেকের কাছ থেকেই টাকা ডবল করা আর তাঁদের বড়লোক বানানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিত। কিছুদিন পর যখন তাঁরা নোট ডবল করার দাবি করত, তখন বাচ্চাদের খেলনার টাকা ভর্তি একটি ঝুলি তাঁদের হাতে দিয়ে দিত। ওই ঝুলি নিয়ে গিয়ে তাঁর নিজের বাড়িতে অনেক পুজো পাঠ করত। পীরের এই ঠকবাজিতে সর্বস্বান্ত হয়ে এক মহিলা পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে।
ইন্দোরের সদর বাজার এলাকার বাসিন্দা পীর হাজী শামশুদমলগ ‘কালো জিন” দিয়ে নোট ডবল করার দাবি করত। এর সাথে সাথে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য সে বলত, আর মাত্র কয়েকদিন এরপরেই কোটপতি হয়ে যাবেন আপনি। ঘরের আলমারি টাকা আর গহনায় ভরে যাবে। এই ঠকবাজ পীর দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই মানুষকে ঠকিয়ে আসছিল। তাঁর পাল্লায় পড়ে বহু মানুষ অনেক কিছু খুইয়েছে। কিন্তু পুলিশ এতদিনে তাঁর কিছুই করতে পারে নি।
ঠকবাজ এই পীর রোগ দূর করারও দাবি করত। এর বাড়িতে ঝাড়ফুঁক করার জন্য অনেকে ভিড়ও জমাতো। ঝাড়ফুঁক করতে আসা মানুষকে এই নিজের ষড়যন্ত্রে ফাঁসাত। জিন দিয়ে এই পীর রোগ ঠিক করার দাবি করত। সদর বাজারের বাসিন্দা হিনা কিছুদিন আগে এই পীরের কাছে গেছিল, আর এই পীর জিন দিয়ে রোগ ঠিক করে দেওয়ার নাম করে এবং কোটিপতি করার স্বপ্ন দেখিয়েছিল হিনাকে।
পীরের কথা শুনে হিনা কোটিপতি হওয়ার জন্য তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিল। হিনা পুজো করার জন্যও তাঁকে টাকা দিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর হিনা যখন দ্বিগুণ টাকা চেয়ে বসে, তখন পীর বারবার তাঁকে নানান অজুহাত দেখিয়ে ঘোরাতে থাকে। হিনা দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার চক্করে অনেকদিন এই পীরের বাড়ির চক্কর কাটে।
কয়েকদিনের টালবাহানার পর পীর মহিলাকে একটি ঝুলিতে ভরা টাকা দেয়। তবে ওই টাকা আসল টাকা ছিল না, সবই ছিল বাচ্চাদের আচার কেনার নকল টাকা। মহিলাকে বলে, এই ঝুলিটিকে রোজ পুজো করলে টাকা ডবল হয়ে যাবে। চার-পাঁচদিন পর মহিলা ঝুলি খুলে দেখলে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। এরপর মহিলা পুলিশের কাছে ওই পীরের বিরুদ্ধে নালিশ করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার পীরকে গ্রেফতার করে।
from India Rag https://ift.tt/33YD3WD
Bengali News