ভারতবর্ষে যখন ইংরেজরা তাদের শক্তিকে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ নিয়েছে,অনেক ভারতীয় ইংরেজি শিখে বাবু হতে শুরু করেছিল। ইংরাজি ভাষায় তথাকথিত শিক্ষিত বাবুরা, বিদেশীদের গোলামী করে ভারত মাতাকে পদলেহন করতে শুরু করেছিল তখন জন্ম হয়েছিল সুভাষ নামের এক বীরপুত্রের। যিনি বীরসন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে হয়ে উঠেছিলেন মহাযোদ্ধা সুভাষচন্দ্র বসু।
তৎকালীন সময়ে ভারত মাতার বীর সন্তান সুভাষ চন্দ্র বসু পুরো দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নেতা হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনকার দিনে হিটলার সহ সব বড়ো নেতাদের ৬ থেকে ৭ জন করে বহুরূপী থাকতো। কিন্তু নেতাজির ছিল ১৬ জন বহুরূপী। যারা ছিলেন প্রায় নেতাজির মতোই দেখতে। নেতাজি যদি একদেশ থেকে অন্য দেশে যেতেন, তাহলে তার আগে ওই রাস্তায় বহুবার টেস্ট করে দেখা হতো যে পথ নিরাপদ কিনা। কারণ নেতাজি তখনকার দিনে পুরো দক্ষিণ এশিয়াকে মুক্তির জন্য কাজ করেছেন।
জানিয়ে দি, অখন্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। উনাকে বিশ্বের অনেক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মান্যতাও দিয়েছিলেন। অখন্ড ভারতের প্রথম সরকার ছিল আজাদ হিন্দ সরকা র। যদিও বর্তমানে ভারতের ইতিহাস থেকে সমস্ত কিছুকে মুছে ফেলা হয়েছে। আজ ১৪ ই এপ্রিল আজকের দিনেই নেতাজির নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী বর্বর অসভ্য জাতি ইংরেজদের হারিয়ে দেশের মাটিতে প্রথম পতাকা উত্তোলন করেছিল। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে স্বাধীন করার পর ভারতের মূলভূমিতে নেমে পড়েছিলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর মহাযোদ্ধারা।
মনিপুরের রাজধানী ইম্ফল এবং এই ইম্ফল থেকে ৪৫ কিমি দূরে মৈরাং এ আজাদ হিন্দ বাহিনী হেডকোয়ার্টার ছিল। ব্রিটিশ বাহিনীকে হারিয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনী ইম্ফল দখল করেছিল এবং মৈরাং এ ভারতের পতাকা উত্তলন করেছিল। প্রসঙ্গত, ভারত বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের কারণে এইসব ইতিহাস পড়া থেকে ভারতীয়রা বঞ্চিত হয়ে থাকে। কারণ ভারত বিরোধীরা এটা ভালো করেই জানে যে, সকলে আসল ইতিহাস জানলে আবার অখন্ড ভারত গড়তে বেশি সময় লাগবে না। আজকে মৈরাং (Moirang) বিজয় দিবসে আজাদ হিন্দ বাহিনীর বীর আত্মাদের ও ভারত মাতার সুপুত্র সুভাষ চন্দ্র বসুকে জানাই কোটি কোটি প্রণাম।
from India Rag https://ift.tt/2V9xKyV
Bengali News