শ্রীনগরঃ জম্মু কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) নেতারা লাগাতার ইস্তফা দিয়ে চলেছেন। মধ্য কাশ্মীরের গান্দরবল জেলা থেকে বিজেপির ছয়জন সদস্য দল থেকে ইসতফা দিয়েছে। এর সাথে সাথে কাশ্মীরে বিগত এক সপ্তাহে দলের নেতা এবং কর্মী মিলিয়ে ৪০ জন ইস্তফা দিয়েছেন।
কাশ্মীরের প্রধান আর পঞ্চায়েত সদস্য সমেত দলের নেতাদের উপর সম্প্রতি হয়ে যাওয়া একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় কারণে বিজেপির নেতা এবং কর্মীরা ভয়ে তটস্থ। গত মাসের ৮ ই জুলাই সন্ত্রাসীদের হামলায় বিজেপির নেতা ওয়াসিম বারি, তাঁর ভাই উমর শেখ আর তাঁর বাবা বশিরকে বান্দিপোরায় প্রাণ হারান।

বান্দিপোরার ঘটনার এক মাস পর ৯ ই আগস্ট সন্ত্রাসীরা ওমপাড়া, বডগামে বিজেপির কর্মী হামিদ জামাল নাজরের উপর হামলা করে। আরেকদিকে, ৬ ই আগস্ট দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্ড এলাকায় বিজেপির নেতা তথা প্রধান সাজ্জাদ খান্ডেকে ওনার বাড়ির বাইরে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ৪ ঠা আগস্ট আরও এক বিজেপির প্রধান আরিফ আহমেদ শাহ কুলগাম জেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হনে।
বিজেপির মহাসচিব রাম মাধব দলের নেতা আর কর্মীদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আধিকারিকরা জানান, কাশ্মীরের সবাইকে সুরক্ষিত করার সম্ভব না। কিন্তু যারা সন্ত্রাসবাদীদের হিট লিস্টে আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা যেতেই পারে।
কাশ্মীরে বিজেপির নেতাদের ১৬ ই আগস্ট পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সুরক্ষা এজেন্সি গুলো অনুযায়ী, ১৫ ই আগস্ট পর্যন্ত নেতাদের উপর বিপদ আছে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, কাশ্মীরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সুরক্ষার জন্য সরকার কি নীতি বানাচ্ছে আর কীভাবে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে?
from India Rag https://ift.tt/3kzMhOZ
Bengali News