এখনকার দিনে এই বিশ্বের সব দেশগুলি তাদের সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিধর করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। কারন সব দেশই চাই যে তাদের দেশ শক্তিবল যুক্ত দেশ হয়ে উঠুক যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে সেই দেশের দাপট থাকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যাবহৃত ‘ট্যাঙ্ক এসলট’ এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। তার জায়গা নিয়েছে এই যুগের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলি, পাল্টেছে রণকৌশল। এখনকার নুতন প্রযুক্তিতে গড়ে উঠা ক্ষেপণাস্ত্র গুলি চালনা করার জন্য কষ্ট করতে হয় না। শুধুমাত্র ঠাণ্ডা ঘরে বসে বোতাম টিপলেই কাজ হয়ে যায়। মুহুতের মধ্যে শত্রু পক্ষের ঘাঁটিতে আছড়ে পরে ক্ষেপণাস্ত্র। ধ্বংস করে দেয় শত্রু পক্ষের ঘাঁটি। সেই সব কিছুর সাথে পাল্লা দিয়ে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। শোনা যাচ্ছে যে, চলতি বছরের শেষের দিকেই পরিক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে ব্রহ্মস মিসাইলের। সেটিকে করা হবে আরও বেশি অত্যাধুনিক।
ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে বানিয়েছে এই ভয়াবহ মিসাইলটি। সুপারসনিক থেকে এবার হাইপারসোনিক হওয়ার দিকে এগাচ্ছে এই মিসাইল। জানিয়ে দি বর্তমান বিশ্বে এই মিসাইলের কোনো জবাব কোনো দেশের কাছে নেই। যার জন্য পাকিস্থান হোক বা বাংলাদেশ সব শত্রুদেশের কাছে এই অস্ত্র যমের মতো কাজ করে। ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদীর নাম অনুসারে এই মিসাইলের নাম দেওয়া হয়েছে এবং অনেকে ভগবান ব্রহ্মজির নামেও ব্রহ্মঅস্ত্র বলেন। এটি ভারতীয় স্থলসেনা ও নৈসেনার কাছে অনেক আগে থেকেই রয়েছে। তবে এবার এটিকে আরও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে তারপর তুলে দেওয়া হবে বায়ুসেনার হাতে। মিসাইলটির নির্মাণকারী সংস্থা ‘ব্রহ্মস এরোস্পেসের শীর্ষকর্তা আলেকজান্ডার মাকসিচেভ জানান যে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বায়ুসেনার হাতে তুলে দেবার আগে এটিকে সব দিক দিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তবেই দেওয়া হবে। তারা এটাও জানান যে, এই চলতি বছরের মধ্যেই এর সকল পরীক্ষা শেষ করা হবে। সেই সাথে তারা এটাও দাবি করেন যে, বায়ুসেনার বিমান থেকে খুব সহজেই শত্রু পক্ষের ঘাঁটিতে ছোড়া যাবে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি।
স্থলসেনা ও নৌসেনার হাতে ২০০৬ সালে তুলে দেওয়া হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস। তারপর থেকে এর শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভারত ইতিমধ্যে ‘মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে তার ফলে এই মিসাইলের শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনোরকম বাঁধা সৃস্টি হবে না। এর শক্তি ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এই শক্তিশালী মিসাইল ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক‘ এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে কারন ২০০ কিলোমিটার অব্দি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এই মরনদায়ক মিসাইল। বর্তমানে ব্রহ্মস NG ও ব্রহ্মস 2K এর উপর কাজ চলছে।
চিন ও পাকিস্তানের কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি পাওয়া যাচ্ছে হামলা করার। তাই কেন্দ্র চাইছে যে এমন একটি মিসাইল তৈরী করতে যেটা দিয়ে তারা একসাথে দুইপক্ষকেই জবাব দিতে পারবে। সেই লক্ষেই সেনাবাহিনী ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে যুক্ত করতে চাইছে ৪০টি সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে। যদি একবার এই পরক্ষা সফলভাবে সম্পূর্ণ হয় তাহলে স্থল এবং নৈসেনার মতন শক্তিশালী হয়ে উঠবে বায়ুসেনা। ফলে তারা সহজেই বিমানে বসে বসেই শত্রু পক্ষের ঘাঁটি ধূলোয় মিশিয়ে দিতে পারবেন।
#অগ্নিপুত্র
The post অপ্রতিরোধ্য ভারত! এবার মুহুর্তে শত্রুদের ছাই করার শক্তি অর্জন করবে ভারত। appeared first on India Rag.
from India Rag https://ift.tt/2N6QMmh