কলকাতাঃ কোন রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকার পরেও একের পর এক নির্বাচনে জিতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, তিনি হারবার মানুষ নন। ২০১৬ সালে প্রথমবার বিধানসভায় জয় হাসিল করেছিলেন তিনি। আর সেবারি তিনি প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান। সেই সময় কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা জ্ঞান সিং সোহন পালকে পশ্চিম মেদিনীপুর আসন থেকে পরাজিত করেন তিনি। কংগ্রেসের নেতা জ্ঞান সিং সোহন পাল ১৯৮২ থেকে ২০১১ এর মধ্যে সাতবার বিধায়ক হয়েছিলেন।
জ্ঞান সিং সোহন পালকে হারানো অতটা সহজ ছিল না, কিন্তু দিলীপ ঘোষও হারবার মানুষ নন। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি জয়ের প্রতিজ্ঞা করেন। আর নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফল স্বরুপ অপ্রত্যাশিত ভাবে ব্যাপক জন সমর্থন নিয়ে প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করে দিলেন তিনি।
এরপর ২০১৯ এ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথামত তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়ান। এবারও লোকসভায় ওনার প্রথম লড়াই ছিল। আর ওনার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মানস ভূঁইয়া। লড়াইতা কঠিন ছিল না দিলীপ ঘোষের কাছে। তবুও দাঁতে দাঁত লাগিয়ে পড়ে থাকেন মেদিনীপুরে। তৃণমূলের জয় ওই এলাকায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু সেই জয় ছিনিয়ে নেন দিলীপ ঘোষ। ব্যাস … আর কি, প্রথমবারের জন্য লোকসভাতে চলে যান বাংলার এই দুঁদে নেতা।
তবে শুধু নিজের আসনে জয়লাভের লক্ষ্যেই ছিলেন না তিনি। ওনার লক্ষ্য আরও বড় ছিল। বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন মিটিয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে রাজ্যের ২০ টির উপরে আসনে জয়ের লক্ষ্য মাত্র রেখেছিলেন তিনি। নিজের আসনে জয় লাভ করার সাথে সাথে গোটা বাংলাতেও পদ্ম ফোটানোর দ্বায়িত্ব ওনার কাঁধেই ছিল। কারণ তিনিই ছিলেন রাজ্য সভাপতি।
মোদীর সেনাপতি দিলীপ ঘোষ নিরাশ করেন নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রাজ্যে তৃণমূলের থেকে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। আর তাঁর কাণ্ডারি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। অনেকবার তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে ওনাকে। এমনকি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কয়েকবার হামলাও করেছে ওনাকে। কিন্তু তিনি ভয়ে দমে যান নি। আজ বাংলায় বিজেপিকে পুনর্জীবিত করা নেতা দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। আর ওনাকে এই দিনের জন্য জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
from India Rag https://ift.tt/30lWtCJ
Bengali News