লাভপুর তৃণমূলের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম (Manirul Islam)। নানারকম হিন্দু বিরোধী গতিবিধি এবং অসামাজিক কাজে বারবার ওনার নাম উঠে এসেছে। এতদিন শাসক দলেই ছিলেন, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর হঠাৎই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপির অন্দরে ওঠে চরম ক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সমর্থক এবং কর্মীরাই বিজেপি বিরোধী হাওয়া তৈরি করে ফেলেন। রাস্তাঘাটে জনসাধারণের মুখেও একই কথা, ‘ শেষে মণিরুল বিজেপিতে? “। আর এই বিধায়ককে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানর পরে চাপ বাড়ে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) উপরেও।
অবশেষে কর্মী সমর্থকের চাপে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই বিতর্কিত বিধায়ক। সূত্র অনুযায়ী, দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ার ফলে তিনি নিজেই শোক প্রকাশ করে ইস্তফা পত্র লিখে ফেলেছেন। স্বয়ং মুকুল রায় এবার মণিরুলের ইস্তফার কথা জানিয়েছেন। মুকুল রায় বলেন, ‘তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়নি বা এ নিয়ে কোনও কথাও হয়নি। মণিরুল ইসলাম দলের ক্ষোভের কথা উল্লেখ করে ইস্তফার বিষয়ে জানিয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, বীরভূমে তৃণমূলের সর্বেসর্বা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাস ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। বিজেপি তাঁকে দলে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের উপরে চাপ সৃষ্টি করে বীরভূমে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে পাঠাতে চাইছিল। কিন্তু বিজেপির এই ইচ্ছে পূরণ হতে দিলোনা বিজেপির কর্মী সমর্থকেরাই।
মণিরুলকে দলে নেওয়ার পরেই বীরভূম বিজেপির দাপুটে নেতা কালোসোনা মণ্ডল দল ছাড়ার হুমকি দেন। এমনকি লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা লেখি করেন। বিজেপি চেয়েছিল মণিরুলকে দিয়ে তৃণমূলকে ভাঙাতে। কিন্তু উল্টে মণিরুলের জন্যই বিজেপি ভাঙতে শুরু হয়ে গেছিল।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর http://bit.ly/2QG3dEY
Bengali News