CBI বনাম মমতার যে সংঘর্ষ হয়েছে তা নিয়ে এখন নতুন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আসলে পশ্চিমবঙ্গে মমতার সরকার সাংবিধানিক ব্যাবস্থার অবমাননা করে কলকাতা পুলিশকে CBI এর বিরুদ্ধে ব্যাবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মমতার এই অসাংবিধানিক কাজে রাহুল গান্ধী, কেজরিওয়াল সহ সমস্ত বিরোধী দল মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস পার্টি এই ইস্যুতে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে কারণ এতে মোদী বিরোধ করা যায়। কংগ্রেস এমন পার্টি যারা মোদী বিরোধের নামে পাকিস্থান ও চীনের সাথেও হাত মিলিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকে।
কাল মমতার নির্দেশে কলকাতা পুলিশ CBI আধিকারিকদের আটকে দিয়েছিল এবং একইসাথে CBI এর দপ্তরকে পুলিশ দিয়ে ঘেরাবন্দি করেছিল। শেষমেষ CRPF নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্র সরকার। CRPF নামিয়ে মমতার কবজা থেকে মুক্ত করা হয় CBI কে। CBI কে রক্ষার জন্য দেশের কোনো রাজ্যে CRPF নামাতে হচ্ছে, এটা ইতিহাসে এই প্রথম।
কেন্দ্রীয় সংস্থা যে রাজ্যে সুরক্ষিত নয়, সেখানের অবস্থা কতটা শোচনীয় তা যে কেউ কল্পনা করতে পারে। কাশ্মীরেও কেন্দ্র সরকারকে এইভাবে পদক্ষেপ নিতে হয় না, যেটা কলকাতায় নিতে হয়েছে। তবে মমতার পাশে দাঁড়ানো নিযে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে কংগ্রেস পার্টির মধ্যে। রাহুল গান্ধী মোদী বিরোধিতা করার জন্য মমতার পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেও, রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী খোলাখুলি মমতার বিরোধিতা করেছেন।
উনি রাহুল গান্ধীর বিপরীতে গিয়ে বলেছেন রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শুধু এই নয় অধীর চৌধুরী সেই নেতা যিনি প্রথম রাজ্যে এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী বলেন- আমি মমতা দিদির সাথে কথা বলেছি, সংবিধানের রক্ষার জন্য আমরা উনার সাথে আছি। মনে করিয়ে দি, এটা সেই কংগ্রেস যারা দু, এক বছর আগেই মমতাকে আক্রমন করছিল। কংগ্রেস পার্টি দু এক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট রাজ চলছে বলে আক্রমন করেছিল। শুধু এই নয়, চিৎফান্ডে ২০ লক্ষ মানুষের টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে বলেও মমতার বিরূদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল কংগ্রেস। কিন্ত সেই সুরের উপর অধীর চৌধুরী স্থায়ী থাকলেও রাহুল গান্ধী মোদীর বিরোধিতার জন্য সম্পূর্ন পাল্টি খেয়েছেন।
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2SmnqTB
Bengali News