গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা স্বত্বেও জোর করে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। আর এবার নির্দলকে সাথে নিয়ে তৃণমূলকে সরিয়ে পঞ্চায়েত দখল নিলো বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়। মাথাভাঙায় কুর্শামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলকে হটিয়ে দখন নিলো বিজেপি।
এই পঞ্চায়েতে মোট ১৩ টি আসন। যার মধ্যে বিজেপি পাঁচটি, তৃণমূল পাঁচটি ও নির্দল তিনটি আসন পেয়েছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা স্বত্বেও ওই গ্রাম পঞ্চায়েত গায়ের জোরে দখল নিয়েছিল তৃণমূল। আর আজ সেই পঞ্চায়েতেই শাসক শিবিরকে হটিয়ে বোর্ড গঠন করে নিলো বিজেপি।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, গত সেপ্টেম্বর মাসে বোর্ড গঠনের সময় বিজেপি ও নির্দলের জয়ী পার্থীদের পঞ্চায়েতে ঢুকতেই দেয়নি তাঁরা। ১৩ আসনের পঞ্চায়েতে মাত্র পাঁচ জনের সমর্থনে গায়ের জোরে বোর্ড গঠন করে প্রধান হন তৃণমূলের জুলজুলাল মিঞা।
বিজেপি ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীরা এই ঘটনার চরম নিন্দা করে হাইকোর্টের দরজার কড়া নারে। আর সেখানেই কেল্লা ফতেহ হয় তাঁদের। হাইকোর্ট থেকে এই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে ঘোষণা করার পর আজ নির্দলের তিন জয়ী প্রার্থী এবং বিজেপির পাঁচ জয়ী প্রার্থী মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করে বোর্ড গঠন করে নেয়। এরপরেই তৃণমূলকে হটতে হয় সেখান থেকে।
আজ এই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছিল এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার হল, আজকের এই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের পাঁচ জয়ী সদস্য বোর্ড গঠন প্রক্রিয়াকে বয়কট করেছিল!
তৃণমূলের জয়ী পাঁচ সদস্যের অনুপস্থিতিতে বাকি জয়ী আট সদস্য একত্রিত হয়ে বোর্ড গঠন করে দখল নেয় পঞ্চায়েতের। তবে বিজেপি বোর্ড গঠন করলেও, প্রধান বা উপপ্রধান কোন পদেই দাবি করেনি। তাঁরা এই দুটি পদই নির্দলের হাতে তুলে দিয়ে নজীর গড়ে।
কোচবিহার জেলার বিজেপির সম্পাদক মনোজ ঘোষ জানান, ‘মানুষ তৃণমূলকে চায়না এটা স্পষ্ট, আর এই জন্যই আমরা নির্দলদের নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে ওদের তাড়িয়েছি”
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2WIpnZB
Bengali News