দুর্গাপুর: উচ্ছেদের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকল দুর্গাপুর পুরসভা ও এডিডিএ (আসানসোল -দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ )৷ তাদের মনোভাব বুঝতে পেরে দখলদারদের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকে নিজেরাই তাঁদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন৷ বিধাননগর -সহ সিটি সেন্টার এলাকার একাধিক দোকানদার ইতিমধ্যে নিজেরাই সরে গিয়েছেন৷ পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন বাকিরা৷ কিন্ত্ত পুরসভা ও এডিডিএ এ বারও সাফ জানিয়েছে , কোনও রকম পুনর্বাসন হবে না৷ দখলদাররা নিজেরা না সরে গেলে উচ্ছেদ করা হবে তাঁদের৷ এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘কোনও ভাবেই জবরদখল বরদাস্ত করা হবে না৷ দোকানদাররা যদি অন্যত্র সরে যান ভালো , নইলে প্রশাসনের তরফেই উচ্ছেদ করা হবে তাঁদের৷ ’ এক বক্তব্য মেয়র দিলীপ অগস্তিরও৷ তিনি বলেন , ‘জোর করে সরকারি জমি দখল করা যায় না৷ দখল করলে উচ্ছেদ করা হবে৷ ’কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্টসিটি প্রকল্প থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এর পর রাজ্য নিজেই গ্রিন সিটি প্রকল্প চালু করেছে৷ এই প্রকল্পের আওতায় দুর্গাপুর শহরকে দখলমুক্ত করে সৌন্দর্যায়ন করার জন্য নবান্ন থেকে সম্প্রতি নোটিস এসেছে এডিডিএ ও পুরসভার কাছে৷ তার পরেই যুগ্মভাবে তড়িঘড়ি দখলদার উচ্ছেদে ময়দানে নামে তারা৷ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে গত কাল হকার -দখলদাররা এডিডিএ ও পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান দফায় দফায়৷সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকায় সব মিলিয়ে হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী সরকারি জমি দখল করে দোকান চালাচ্ছেন এখন৷ গত কাল অবধি তাঁদের বক্তব্য ছিল , ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালাচ্ছি , উচ্ছেদ হলে আমরা যাব কোথায় ? পুনর্বাসন ছাড়া কোনও ভাবেই উচ্ছেদ করা যাবে না৷ ’ এডিডিএ ও পুরসভার কঠোর মনোভাবে এদিন পিছু হঠতে বাধ্য হন তাঁদের অনেকেই৷ চাপে পড়ে সকাল সকালই বিধাননগর এলাকায় শহিদ সুকুমার সরণিতে একাধিক দখলদার নিজেদের দোকান সরিয়ে নেন৷ সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকেও ক্রেনে করে সরিয়ে নেওয়া হয় একাধিক গুমটি৷ উচ্ছেদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও৷ বর্ণালী দাস নামে এক মহিলা বলেন , ‘কর্মসূত্রে প্রতিদিন সিটি সেন্টারে আসি৷ বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো যায় না৷ অবৈধ ভাবে বাসস্ট্যান্ডের ভিতর দোকান গজিয়ে উঠেছে৷ বর্ষার সময় যাত্রীরা শেডের তলায় দাঁড়াতে পারেন না৷ অনেক দিন একটা ভালো পদক্ষেপ করছে প্রশাসন৷
Source-Eisamay
Source-Eisamay