দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারাজ এ দামোদর নদ এই মুহূর্তে প্রায় শুকনো।কোথাও এক হাঁটু জল।আবার কোথাও বুক সমান।তা সত্ত্বেও একের পর এক জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।স্থানীয় বাসিন্দা-সহ সেচ দপ্তরের কর্মীদের বক্তব্য,যারা জলে নেমে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের অধিকাংশ সাঁতার জানে না।ব্যারাজের যে অংশে জল ছাড়া হয় সেখানকার পরিকাঠামো না জেনে জলে নামের ফলে একের পর এক তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা।
স্থানীয় এক জেলে ভৈরব বাউরি বলেন,'এখন দামোদর নদে জল খুব একটা নেই।লকগেট এর সামনে সামান্য জল রয়েছে।সেখানে এক হাঁটু জলে নামার পরে অনেকে এগিয়ে যায়।লকগেট এর পর ঢালাইয়ের অংশ শেষে গর্ত রয়েছে।সেটা বাইরের লোকজন জানেনা।আচমকা ওই গর্তে পরে অনেকেই তলিয়ে যায়।'
দুর্গাপুর ব্যারাজ এ লকগেট এর মাধ্যমে একদিকে জল ধরে রাখা হয় অন্য দিকে,প্রয়োজন মতো জল ছাড়া হয়।যেদিকে জল ছাড়া হয় সেদিকে প্রতিটি গেট থেকে প্রায় ২০ মিটার এলাকা কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো রয়েছে।তার ওপর চৌকো কংক্রিকটের বেশ কিছু স্তম্ভ রয়েছে।সেচ দপ্তরের ভাষায় এই জায়গাটিকে ফরিক্সান জোন বলে।লকগেট থেকে জল ছাড়ার পর ফ্রিক্সান জোনের মধ্যে অবস্থিত কংক্রিটের স্তম্ভ গুলি জলের গতিবেগ কমাতে সাহায্য করে।ফ্রিক্সান জোনের পর প্রায় ৩০ মিটার এলাকা কংক্রিট এর ঢালাই থাকে
ফ্রিক্সান জোন থেকে জল সরাসরি বালির মধ্যে পড়লে এই জোনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই এই ঢালাই।
এর পর থাকে বোল্ডার জোন।ঢালাইয়ের পরের বেশ কিছু অংশ বোল্ডার বিছানো থাকে।যাতে ঢালাই অংশের কোনো ক্ষতি না হয়।লকগেট থেকে জল ছাড়ার পর ফ্রিক্সান জোন,ঢালাই অংশ ও বোল্ডার জোন পার করে নদের বালিতে গিয়ে পড়ে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বন্যা পরিস্থিতির সময় নিয়মিত লকগেট থেকে জল ছাড়ার ফলে বোল্ডার অংশের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।জলের তোড়ে বোল্ডার অংশ ভেসে চলে গিয়েছে।ফলে এখন ঢালাই এর পর জল সরাসরি দামোদর নদের বালির মধ্যে পড়ে।ঢালাইয়ের অংশের পর জল সরাসরি বালিতে পড়ার ফলে ওই জায়গায় বেশ কয়েকফুট গর্ত হয়ে গিয়েছে যা ওপর থেকে বোঝা যায় না।দেখলে মনে হবে এক হাঁটু বা বুক সমান জল রয়েছে ।যারা এই বিষয়ে অজ্ঞ তারা স্নান করতে নেমে ঢালাই অংশ পার করলেই ওই গর্ত পরে তলিয়ে যায়।
সেচ দপ্তরের এক কর্মী বলেন,'ঢালাই অংশ বালিতে ঢেকে গিয়েছে।ফলে জলে যারা নাম তারা বুঝে উঠতে পারে না ঢালাই অংশ কোথায় শেষ হচ্ছে।।হাঁটু জল রয়েছে মনে করেই এগিয়ে যায় শিকলে।এরপর ঢালাই অংশ শেষ হলে গড়তে পড়ে গেলেই হয় বিপত্তি।যারা সাঁতার জানে তারা বেঁচে যায়।সাঁতার না জানলেই তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।'
Source-eisamay
স্থানীয় এক জেলে ভৈরব বাউরি বলেন,'এখন দামোদর নদে জল খুব একটা নেই।লকগেট এর সামনে সামান্য জল রয়েছে।সেখানে এক হাঁটু জলে নামার পরে অনেকে এগিয়ে যায়।লকগেট এর পর ঢালাইয়ের অংশ শেষে গর্ত রয়েছে।সেটা বাইরের লোকজন জানেনা।আচমকা ওই গর্তে পরে অনেকেই তলিয়ে যায়।'
দুর্গাপুর ব্যারাজ এ লকগেট এর মাধ্যমে একদিকে জল ধরে রাখা হয় অন্য দিকে,প্রয়োজন মতো জল ছাড়া হয়।যেদিকে জল ছাড়া হয় সেদিকে প্রতিটি গেট থেকে প্রায় ২০ মিটার এলাকা কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো রয়েছে।তার ওপর চৌকো কংক্রিকটের বেশ কিছু স্তম্ভ রয়েছে।সেচ দপ্তরের ভাষায় এই জায়গাটিকে ফরিক্সান জোন বলে।লকগেট থেকে জল ছাড়ার পর ফ্রিক্সান জোনের মধ্যে অবস্থিত কংক্রিটের স্তম্ভ গুলি জলের গতিবেগ কমাতে সাহায্য করে।ফ্রিক্সান জোনের পর প্রায় ৩০ মিটার এলাকা কংক্রিট এর ঢালাই থাকে
ফ্রিক্সান জোন থেকে জল সরাসরি বালির মধ্যে পড়লে এই জোনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই এই ঢালাই।
এর পর থাকে বোল্ডার জোন।ঢালাইয়ের পরের বেশ কিছু অংশ বোল্ডার বিছানো থাকে।যাতে ঢালাই অংশের কোনো ক্ষতি না হয়।লকগেট থেকে জল ছাড়ার পর ফ্রিক্সান জোন,ঢালাই অংশ ও বোল্ডার জোন পার করে নদের বালিতে গিয়ে পড়ে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বন্যা পরিস্থিতির সময় নিয়মিত লকগেট থেকে জল ছাড়ার ফলে বোল্ডার অংশের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।জলের তোড়ে বোল্ডার অংশ ভেসে চলে গিয়েছে।ফলে এখন ঢালাই এর পর জল সরাসরি দামোদর নদের বালির মধ্যে পড়ে।ঢালাইয়ের অংশের পর জল সরাসরি বালিতে পড়ার ফলে ওই জায়গায় বেশ কয়েকফুট গর্ত হয়ে গিয়েছে যা ওপর থেকে বোঝা যায় না।দেখলে মনে হবে এক হাঁটু বা বুক সমান জল রয়েছে ।যারা এই বিষয়ে অজ্ঞ তারা স্নান করতে নেমে ঢালাই অংশ পার করলেই ওই গর্ত পরে তলিয়ে যায়।
সেচ দপ্তরের এক কর্মী বলেন,'ঢালাই অংশ বালিতে ঢেকে গিয়েছে।ফলে জলে যারা নাম তারা বুঝে উঠতে পারে না ঢালাই অংশ কোথায় শেষ হচ্ছে।।হাঁটু জল রয়েছে মনে করেই এগিয়ে যায় শিকলে।এরপর ঢালাই অংশ শেষ হলে গড়তে পড়ে গেলেই হয় বিপত্তি।যারা সাঁতার জানে তারা বেঁচে যায়।সাঁতার না জানলেই তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।'
Source-eisamay