কলকাতাঃ বঙ্গ বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা তথাগত রায় বিতর্কিত চরিত্র হিসেবেই খ্যাত। তাঁর টুইট মানেই ওভার বাউন্ডারি। তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর দাপটে বিরোধীরা কেন, দলের নেতারাও বাকরুদ্ধ হয়ে যান যখন তখন। তথাগত রায়কে নিয়ে অনেক আলোচনা, সমালোচনা হলেও কোনোতেই যেন ওনার কিছু যায় আসে না। সেটা তাঁর ভাবভঙ্গিতেই স্পষ্ট। সে নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাঁকিয়ে চলেন একের পর এক ছক্কা।
সম্প্রতি ১৯৫০ সালে আসামের গো-সংরক্ষণ বিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার শাসনকালে নয়া আইনে পরিণত হতে চলেছে। ফলস্বরূপ আশা করা যাচ্ছে যে, রাজ্যের গণ্ডি টপকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার যেমন বন্ধ হবে, তেমনই বন্ধ হবে গোহত্যাও। নয়া গো-সুরক্ষা আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোথাও কোনোভাবে গো-মাংস বিক্রি করা চলবে না এবং কোনোরকম হিন্দু এলাকাতেও গো-মাংস কাটা বা বিক্রি করা হবে না। আসামের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে বিতর্কিত বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের কাছে। পাশাপাশি তিনি মত প্রকাশ করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও এই আইন বলবৎ করা উচিত।
মঙ্গলবার বিজেপি নেতা তথাগত রায় টুইট বার্তায় লিখেছেন, “অসমের প্রতিবেশী বাংলাদেশে শূয়োরের মাংস নিয়ে কোনো কিছু করা গোটা দেশেই বারণ। সে তুলনায় গো-মাংস সম্বন্ধে হিমন্ত বিশ্বশর্মার আনা বিল খুবই সময়োচিত ও মৃদু। একটা কাটা গরু ঝুলছে, চর্বিগুলো হলুদ হয়ে গেছে, এ দৃশ্য যে কোনো হিন্দুরই বিবমিষা উদ্রেক করে। পশ্চিমবঙ্গেও এরকম আইন হওয়া উচিত।”
তিনি বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে একই একই টুইট দু’বার লিখেছেন, একবার ইংরেজিতে, আরেকবার বাংলায়। ১৯৫০ সালে আসামে যে গো-সুরক্ষা বিল আনা হয়েছিল, সেখানে বলা ছিল ১৪ বছরের বেশি হলে তবেই গো-হত্যা করা যাবে। কিন্তু যেসব গোরুকে হত্যার উপযোগী মনে করা হবে তাদেরই কাটা যাবে। আসামে দ্বিতীয় বারের জন্য সিংহাসন লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। এবং এরপর থেকেই একের পর এক বড়সড় পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন দাপুটে নেতা তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
The post ওপার বাংলায় শুয়োরের মাংস নিষিদ্ধ, এপার বাংলাতে নিষিদ্ধ হোক গোহত্যা! দাবি অথাগত রায়ের first appeared on India Rag .from India Rag https://ift.tt/3i6n8eb
Bengali News