ভগবান শ্রী পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের বাসগৃহ রাম মন্দিরের নির্মাণের রায় ঘোষণার দিন থেকেই সেক্যুলার ও স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীদের রাম মন্দির নিয়ে একের পর এক কুৎসা করতে দেখা গেছে। রাম মন্দির নির্মাণকে তারা সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কাজ বলে তোপ দেগেছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আশুতোষ ভরদ্বাজ।
তবে অদ্ভুত বিষয় এই যে, রামমন্দিরকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকারী এবং গুজরাত মডেলকে কুৎসা মন্তব্যকারী সেই আশুতোষ ভরদ্বাজ এখন শিক্ষা মন্ত্রকের অর্থায়নে পরিচালিত একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আশুতোষ ভরদ্বাজকে ম্যাগাজিনের সম্পাদক পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন। হিন্দুদের বিরুদ্ধে কথা বলে কেন ট্যাক্সের টাকায় সে বেতন পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজনদের একাংশ।
আসলে IIAS সিমলা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীনের একটা প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের অর্ধ-বার্ষিকী পত্রিকা ‘চেতনা’। লক্ষণীয় যে ‘চেতনা’ ম্যাগাজিনটি এখন সম্পাদনা করছেন ‘সাংবাদিক’ আশুতোষ ভরদ্বাজ তিনি মূলত নক্সাল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ভরদ্বাজের টুইটার টাইমলাইন থেকে তার নকশালপ্রীতি জানা যায়।
তবে শিক্ষা মন্ত্রকের অর্থায়নে পরিচালিত এই ম্যাগাজিনের সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার আগে আশুতোষ ভরদ্বাজ বলেছিলেন, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাতে নির্মাণাধীন রাম মন্দিরকে এমন একটি মন্দির যা মৃতদেহের স্তূপের ওপর তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের ভিত্তিতে নির্মিত। এরপরে তিনি রাম মন্দিরকে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক প্রচারের পরিণতি হিসাবে অভিহিত করছেন।
এমন কোনও কারণ নেই যার জন্য আশুতোষ ভরদ্বাজের কাজকে ন্যায়সঙ্গত বলে মনে হতে পারে। এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসতে অনেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালকে ট্যাগ করে আশুতোষ ভরদ্বাজের বরখাস্ত চেয়েছেন।
ঋতু নামের এক ইউজার লিখেছেন, এমন ব্যক্তিকে পদে বসিয়ে রেখে এন্টি হিন্দু ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। আরেক ইউজার প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে লিখেছেন, মন্ত্রীরা কিছু করবে না, আপনারাই একটু দেখুন।
The post রাম মন্দির নিয়ে কুৎসা করেও শিক্ষা মন্ত্রকের টাকায় বেতন পাচ্ছেন বুদ্ধিজীবী! বরখাস্তের দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় first appeared on India Rag .from India Rag https://ift.tt/2SYz5KH
Bengali News