পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রার্থীরা নিজের নিজের দলের জন্য সবরকমভাবে জনগণকে প্রভাবিত করতে নেমে পড়েছে। টলিউডের যেসব তারকরা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরও বেশ সক্রিয়ভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে। যশ থেকে শুরু করে শ্রাবন্তী, পায়েল থেকে শুরু করে সায়নী ঘোষ কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রচারের মাঠে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় বন্দি হওয়া তারকদের ছবি ভাইরালও হয়ে উঠছে অতি মাত্রায়।
তবে ভাইরাল হয়ে পড়া যে সবক্ষেত্রে শুভ নাও হতে পারে, তার প্রমান মিলল তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের বেলায়। আসলে কাঞ্চন মল্লিক সম্প্রতি প্রচারে বেরিয়ে অতি ধর্মনিরপেক্ষতা দেখিয়ে এক মাজারে গিয়ে নামাজ পাঠ করেছেন। সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তুমুল ট্রোল।
ভোটের জন্য মাজারে গিয়ে নামাজ পড়াকে মোটেও ভালোভাবে গ্রহণ করেনি নেটিজনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কড়া ভাষায় কাঞ্চন মল্লিককে কটাক্ষ করেছেন নেটিজনরা। আশীষ সেনগুপ্ত নামের একজন ফেসবুক ইউজার লিখেছেন, “ভোট বড় বালাই, জাত ধর্ম বিসর্জন দেওয়া তৃণমূল প্রার্থীদের প্রধান কাজ। এই ধরনের প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবে ভাবতে বড় অবাক লাগে। এই ধরনের প্রার্থীদের প্রধান লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যকে শেষ করে দেওয়া। এই ধরনের প্রার্থীরা চায় পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের রূপান্তরিত করা।”
যাদব বীরবংশী লিখেছেন, “লোভ লোভ সব লোভ গদির লোভ । গদি পাওয়ার জন্য মাজারে গিয়ে নামাজ পড়া এরা হিন্দু নামে কলঙ্ক।” সুজন চক্রবর্তী লিখেছেন, “এমন একটা অবস্থা এখন কথায় কথায় মাস্টারমশাই গাধা বলবে না মুসলমান বলবে পলিটিশিয়ানরা এটাই ভাবে মনে হয় হুটহাট করে একদিন মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে ফেললেই কি মন জয় করা যায় সম্পূর্ণভাবে বোকামি ছাড়া আর কিছু না।”
কমলেন্দু চৌধুরী লিখেছেন, “উনি কি নামাজ পড়া জানেন?কোন বিধর্মীর নামাজ আল্লাহ্ কবুল করেন?করবেন? ইসলাম ধর্মে কি কাফেরের এবাদত কবুল করেন?সেই ধর্মে কিন্তু তার বিধান নেই, তাহলে উত্তরটা কি?তাহলে কি ধরে নিতে হবে, সঙ্গ গুনে লোহাও জলে ভাঁসে?”
ব্লগার স্বপ্না রায় লিখেছেন, “তারা একটি পক্ষকে বেছে নিয়েছে, আপনি বাছবেন না কেন? হিন্দুবিদ্বেষীদের একটি ভোটও নয়।”
The post “গদির লোভে নামাজ পড়ছেন”- সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ট্রোলড হলেন কাঞ্চন মল্লিক first appeared on India Rag .
from India Rag https://ift.tt/3sx3tbk
Bengali News