বাংলায় হিন্দুদের ব্যাপক হারে দমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা মমতা সরকারের হিন্দুদের প্রতি আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করেছে। আজ ৫ আগস্ট, রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের দিন। সেই উপলক্ষে দেশের অন্যান্য প্রান্তের হিন্দুদের মতো বাংলাতেও হিন্দুরা অনেক স্থানে প্রভু রামের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করতে পুজোর আয়োজন করেছিলেন।
কিন্তু লকডাউনের বাহান বানিয়ে হিন্দুদের ব্যাপকহারে দমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৫০০ বছর লড়াইয়ের পর হিন্দুদের জন্য শুভদিনে আগমন হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলায় পুলিশ বলপূর্বক হিন্দুদের আবেগকে দমন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মমতা ব্যানার্জী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য পুলিশকে এমনভাবে ব্যাবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বিজেপি পুলিশের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মমতা সরকারকে আক্রমন করেছে।
Lord Ram is celebrated around the world. But @MamataOfficial government is insulting the beliefs of Hindus. Are we living in the land of sharia that we can't celebrate Lord Ram in Bengal? pic.twitter.com/VfiFO6btg0
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) August 5, 2020
https://platform.twitter.com/widgets.js
খড়গপুরের মালঞ্চ এলাকায় একটি মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন। আর সেই সময় পুলিশকর্মীরা মন্দিরে ঢুকে বিজেপির কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মমতা ব্যানার্জীর নিন্দা করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে যে, আজ বাংলায় হটাৎ করে অত্যন্ত কড়াভাবে লকডাউন লাগু করে দেওয়া হয়েছে। শুধু এই নয়, অনেক জায়গায় হিন্দুদের ধার্মিক গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়া ও পূজায় বাধা দেওয়ার অভিযোগও এসেছে। এছাড়াও শহরের তালবাগিচায় বিজেপির মহিলা কর্মীরা রাম পুজো করছিলেন। সেখানেও গিয়ে চরাও হয় পুলিশ। সেই পুজোতেও বাধা সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠিচার্জও করে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী সমর্থক। পুলিশের কর্মীরাও আহত হন বলে জানা যাচ্ছে। খড়গপুর শহর থেকে মোট ৪০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
from India Rag https://ift.tt/2XwdZCk
Bengali News