রণক্ষেত্রে দুই সেনার মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার আগে সেই যুদ্ধ আর্মি জেনারেলদের মনের মধ্যে ঘটিত হয়। বলার তাৎপর্য এই যে, যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যুদ্ধের প্ল্যানিং। বর্তমান সময়ে এরই একটা অংশ হলো সাইক্লোলজি ওয়ার। জানিয়ে দি, সাইক্লোলজি ওয়ারে নিপুনতার দরুন চীন তার সমস্ত প্রতিবেশী দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
তবে ভারতের সাথে চীনের যে মানসিক যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে চীন পুরোপুরি ভাবে পেছনে পড়ে গেছে। India Rag এর নিয়মিত পাঠক হলে ভারত কিভাবে চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে তা জানবেন। তবে এখন খবর আসছে যে চীনকে পিছু হটানোর জন্য অজিত দোভাল একটা বড়ো ভূমিকা পালন করেছেন।
চাণক্য এর দন্ড নীতির প্রয়োগ করে অজিত দোভাল চীনকে পিছু হটতে বাধ্য করেছেন বলে খবর সামনে আসছে। চীনের সেনা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে ২ কিমি পেছনে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং এই কাজে অজিত দোভাল পেছনে থেকে বড়ো পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করেছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার দিন অজিত দোভালের সাথে চীনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ফোনে কথোপকথন হয়। যার পরেই চীন তাদের সেনা পিছিয়ে নিতে শুরু করে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (NSA Ajit Doval) রবিবার চীনের বিদেশ মন্ত্রী আর রাজ্য কাউন্সিলরের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যে কথা বলেন। আর এর ঠিক একদিন পরই গালওয়ান এলাকা থেকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পিছু হটা শুরু করে। সুত্র অনুযায়ী, এতদিন ধরে লাগাতার আক্রমণাত্বক স্বভাব আপন করে নেওয়া চীন, ভারতের একের পর এক কড়া পদক্ষেপের পর পিছু হটতে বাধ্য হয়।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, এর আগে লাদাখে প্রধানমন্ত্রী মোদীর যাত্রাও চীনের সাথে মানসিক যুদ্ধে বড়ো প্রভাব ফেলেছে। দাবা খেলায় দুই পক্ষ সমান শক্তিশালী হলেও যখন কোনো এক পক্ষ মন্ত্রীকে ফ্রন্টলাইনে নিয়ে আসে, তখন ওপর পক্ষে হাহাকার সৃষ্টি হয়। সেই একইভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাদাখে যাওয়া মাত্রই চীন ভারতের মুড সম্পর্কে সচেতন হয়ে পড়ে।
তবে ভারত ও চীনের দাবা খেলা এখনই শেষ এমনটাও নয়। কারণ চীন এবার POK কে কাজে লাগিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্যেও যে ভারতীয়রা প্রস্তুত তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
from India Rag https://ift.tt/2W4oL1T
Bengali News