রামায়ণ কালের আগে মহাভারতের সময়কাল থেকে ভারতে (India) সংস্কৃতি (Sanskrit) ভাষার প্রচলন সম্পর্কে শোনা যায়। বর্তমানে ভারতে যত ভাষার প্রচলন রয়েছে প্রত্যেকটি সংস্কৃতি ভাষা থেকেই এসেছে। এই কারণেই সংস্কৃতি ভাষাকে অনেকে সমস্থ ভাষার জননী বলে থাকে। সংস্কৃতি ভাষার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভাষাটির প্রাচীন হওয়ার সাথে সাথে বেশ প্রভাবশালী।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, একজন নিয়মিত সংস্কৃতি পড়ুয়ার মস্তিষ্কের শক্তি অন্য যেকোনো ভাষী পড়ুয়ার থেকে অবশ্যই বেশি হবে। তবে বিড়ম্বনা এই যে, ভারতে এখন সংস্কৃতি ভাষার ব্যাবহার শুধুমাত্র ভারতের পূঁজা অর্চনা, বিয়ে ইত্যাদি কিছু আনুষ্ঠানিক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েগেছে।
তবে জানলে অবাক হবেন, ভারতে এখনও একটা গ্রাম রয়েছে যেখনের মানুষজন সংস্কৃতি ভাষায় কথা বলেন। একে ওপরের সাথে সামান্য কথা বার্তার জন্যেও তারা সংস্কৃতি ভাষার ব্যাবহার করেন। কর্ণাটকের শিমোগা জেলার মাত্তুর (Mattur) গ্রাম সেই বিরল স্থান যেখানের মানুষজন আজও সংস্কৃতি ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করেন।
তুঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামের বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই সংস্কৃতি ভাষায় কথা বলেন। গ্রামটি কোনো ছোট গ্রাম নয়। মাতুর গ্রামে ৫ হাজার মানুষ বাস করেন। গ্রামটির বিকাশ ভারতের অন্যান্য গ্রামের মতোই হয়েছে। ভারতের বাকি গ্রামের মতো সরকার এখানেও সমস্থ সুবিধা উপলদ্ধ করিয়েছে। এই গ্রামের বাচ্চারা ১০ বছর বয়স থেকে বেদ পাঠ শুরু করে দেয়।
গ্রামে কথম অস্তি (কখন এসেছেন), অহম গচ্ছামি (আমি যাচ্ছি) ইত্যাদি সংস্কৃতি শব্দ সব সময় শোনা যায়। আজকের আধুনিক সময়ে দেশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য মাতুর গ্রাম এক দুর্দান্ত উদাহরণ। এমন নয় যে, গ্রামটির দেশ ও বিশ্বের পরিবেশের সাথে তালমেল রাখে না। এই গ্রামের ঘরে ঘরে মেধাবী, প্রতিভাশালী ব্যক্তিত্ব ও পেশাদার লোকজনের খোঁজ মেলে।
১০৮১ সাল থেকে সংস্কৃতি ভারতী নামের এক সংস্থা মাত্তুর গ্রামে সফর করেছিল। সেই সময় তারা এই গ্রামে ১০ দিনের অনুষ্ঠান কর্মসূচি করেছিল। গ্রামের মানুষজন সংস্কৃতি ভাষার উপর আগ্রহ দেখিয়ে যে কাজ শুরু করেছিলেন তার ফলাফল হিসাবেই আজ মাতুর গ্রামে সংস্কৃতি ভাষা ফুলে ফেঁপে বিকশিত হচ্ছে।
from India Rag https://ift.tt/3baTZdy
Bengali News