প্রত্যেক ধর্মের জন্য সেই ধর্মের সংগঠন ও সংস্থা পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করে। প্রাচীন সময় থেকে হিন্দু ধর্মের পাওয়ার হাউস হিসেবে মন্দিরগুলি কাজ করতো। শিক্ষা থেকে শুরু করে ধর্ম ও অন্যান্য সমস্থ সামাজিক কাজের উপর মন্দিরের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ থাকতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি পাল্টি খেয়েছে। এখন মন্দির সামাজিক বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ কম রাখে, উল্টে মন্দিরের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে। ভারত বর্ষের বড়ো বড়ো মন্দিরের অর্থভান্ডার সরকার শোষণ করে। অন্যদিকে ভারতের বাকি যে কোনো ধর্মের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। যার কারণে হিন্দু ধর্ম তথা সনাতন ধৰ্ম নিজের শক্তি ক্ষয় করছে ও অন্য ধর্মের শক্তি বৃদ্ধির ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
তবে বিগত সময় এমন কিছু ঘটনা দেখা যাচ্ছে যা অন্ধকারে সামান্য আলো জ্বালানোর মতো কার্য করছে। কর্ণাটক থেকে একটা বড়ো খবর সামনে আসছে। যেখানে এক হিন্দু মন্দির গরীব দম্পতিদের বিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। যে সব হিন্দু দম্পতি টাকা পয়সার অভাবে বিয়ে করতে পারছে না। তাদের পাশে দাঁড়াবে কর্ণাটকের হিন্দু মন্দির।
কর্ণাটকের সরকার এর জন্য একটা বিশেষ প্রকল্প লঞ্চ করেছে। যার মাধ্যমে কর্ণাটক সরকারের অন্তর্গত মন্দিরগুলি হিন্দু দম্পতিদের বিয়ে দেওয়ার জন্য কাজে লাগানো হবে। কর্ণাটক সরকারের অন্তর্গত ৩৪,০০০ মন্দির রয়েছে।
এর মধ্যে ১৭৫ টি এ-গ্রেড মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরগুলি ব্যাপক হারে দান সংগ্রহ করে। তবে মন্দিরের ফান্ড হিন্দু জনতার কাজে লাগে না। কর্ণাটক সরকার ও মন্দির কমিটির উদ্যেশে এবার থেকে ফান্ডকে জনতার জন্য কাজে লাগানো হবে।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2NIPFs6
Bengali News