জম্মু ও কাশ্মীরে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়ে গেছে। ধারা ৩৭০ অপসারণের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরকে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। এখন জম্মু ও কাশ্মীর একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে উঠেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে থাকবে। এই সবের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে উপত্যকায় এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা কী করবেন। এই নেতারা মূলধারার রাজনীতিতে যোগদান করবেন? যদি আমরা বিকল্পগুলির কথা বলি, তবে এই কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে।

প্রথম বিকল্প বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি ত্যাগ করে সাধারণ রাজনীতিতে অংশ নেওয়া। দ্বিতীয়ত আজীবনকাল তিহাড় জেলে কাটানো। এ ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের কাছে কোনো বিকল্প নেই। কারণ কেন্দ্র সরকার জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিতে অশান্ত করার কোনো সুযোগ দেবে না। আর এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের নিয়ন্ত্রণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে থাকবে। অর্থাৎ এবার থেকে অমিত শাহের হাতে থাকবে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশি ব্যাবস্থা। তাই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের একটু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জানিয়ে দি, জম্মু-কাশ্মীরের সবথেকে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক বর্তমানে বেশ কয়েকটি মামলায় তিহার জেল হাজতে রয়েছেন।

এছাড়াও, মহিলা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দখতারিন-ই-মিল্লাতের প্রধান আশিয়া আন্দ্রাবি, সর্বদলীয় হুরিয়াত সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক মাশরাত আলম ও শব্বির শাহকেও তিহার জেলে বন্দি করা হয়েছে। এই নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকার এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ধরণের নমনীয় মেজাজে থাকতে রাজি নয়। বিশেষ করে এখন যখন জম্মু-কাশ্মীরের উপর দুটি বড়ো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তখন বিচ্ছিন্নতবাদী ও কট্টরপন্থীদের উপর লাগাম লাগানো স্বাভাবিক বিষয়।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/34sHru4
Bengali News