মবলিংচিং এর ঘটনা শুনলেই বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। অবশ্য সক্রিয়াতা নির্ভর করে কোনো বিশেষ জাতি বা ধর্মের লোকজনের উপর লিংচিং হলে। এই কারণে ফতেপুরের ঘটনা বুদ্ধিজীবীদের চোখে পড়েনি বা দেখেও অদেখা করেছে। ঘটনা উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার। যেখানে কট্টরপন্থীদের ভিড় বিকাশ যাদব নামের হিন্দু যুবককে পিটিয়ে আধমরা করেছে। বিকাশ যাদবকে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিল এবং অর্ধমৃত্যু হওয়া পর্যন্ত তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করে। এখন যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।
চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গাছে বেঁধে যুবককে পিটিয়েছে কট্টরপন্থীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তরা পলায়ন করেছে। পুলিশ তাদের খোঁজ চালাচ্ছে। ফতেপুরপুর জেলার বিন্দকি শহরের বাজারিয়া মহল্লায় অবস্থিত একটি আটা কলায় ময়দা আনতে গিয়েছিল ওই যুবক। মিলের অপারেটর সাফি মোহাম্মদ এর সাথে কিছু বিষয় নিয়ে তর্ক হয়ে যায়। তখন সাফি মহম্মদ চিৎকার করে লোকজড়ো করে যুবকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে। সেই সময় এলাকার কট্টরপন্থী লোকজনেরা জড়ো হয়ে বিকাশ যাদবকে মারধোর শুরু করে। গাছে বেঁধে মারা এবং শরীর রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়।
His name is Vikas Yadav, he was tied to a tree & brutally beaten by a Muslim mob in fatehpur
He wasn't caught steeling, his only fault was that he dared to argue with Shami Ahmed.
pic.twitter.com/ILLdCkttMw— सौरभ गुप्ता
(@SaurabhKG3) October 18, 2019
একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যুবককে গাছে বেঁধে মারা হচ্ছে। যুবক তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য সামনে দাঁড়িয়ে জনতার কাছে মিনতি করছে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত বর্বর কট্টরপন্থীদের যুবককে হত্যার জন্য উগ্র হয়ে রয়েছে। পুলিশ এলে বর্বর জনতা যুবককে রেখে পালিয়ে যায়। এর পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালে রেফার করা হয়। বলা হচ্ছে চিকিৎসা চলছে, তবে তার অবস্থা গুরুতর রয়েছে। মোঃ আশরাফ, মোঃ ইরফান ও জাবেদ নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এই ঘটনা নিয়ে বুদ্ধিজীবী গ্যাং নিঃশ্চুপ রয়েছে। একইসাথে মিডিয়াও ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2VZ5Kg3
Bengali News