ইসলামিক আতঙ্কবাদীদের জন্য এবার পুরো মুসলিম সমাজ ভুগতে শুরু হয়েছে। আসলে সমাজে কেউ আতঙ্কবাদী হলে তার বিরুদ্ধে সমাজকেই সোচ্চার হওয়া উচিত। কিন্তু মুসলিম সমাজ উগ্র ইসলামিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তেমন কোনো আওয়াজ তুলতে পারেনি। তাই হয়তো এবার পুরো মুসলিম সমাজকে অনেক দেশ সন্দেহের চোখে দেখছে। বিশেষ করে দুই শক্তিশালী দেশ আমেরিকা ও চীন তাদের সীমা ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে। আমেরিকার এক মুসলিম মেয়ের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সেই মুসলিম মেয়ে যখন আমেরিকার বিমানবন্দরে তার সাথে কী করা হয়েছিল তা জানায়, পুরো বিশ্ব হতবাক হয়ে পড়ে।
আমেরিকার এক এয়ারপোর্টে সুরক্ষা চেকিং চলাকালীন অন্তর্বাস চেকের সাথে সাথে স্যানিটারি প্যাড পর্যন্ত চেক করা হয়। মুসলিম মহিলা নিজে একথা জানিয়েছেন। মার্কিন বিমানবন্দরে যে মুসলিম মহিলার সাথে এই ঘটনা ঘটেছে তার নাম জেনব মার্চেন্ট, এই মহিলা মার্কিন নাগরিক। তদন্তের সময়, জৈনব আন্ডার গার্মেন্টসটি আমেরিকান বিমানবন্দরে সুরক্ষা দ্বারা খোলানো হয়েছিল কারণ ওই সময় জয়ানব স্যানিটারি প্যাড পরে ছিল। জেনব বলেন যে আমি অফিসারদের জানিয়েছিলাম যে তিনি পিরিয়ডে আছেন, যার কারণে তিনি প্যাড পরেছেন। সুতরাং এটি যাচাই করতে, তাদের আলাদাভাবে স্ক্রিন করা হয়। এতে জৈনব তার অন্তর্বাস এবং প্যান্ট খুলে নিতে বলা হয়। স্মরণ করিয়ে দি, আমেরিকা সেই দেশ যেখানে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও তার পোশাক খুলে চেকিং করা হয়েছিল।
জেনব বলেন, আমি সুরক্ষারত কর্মীদের বলি যে আমার পিরিয়ড চলছে প্যাড ভেজা আছে। কিন্তু উনারা আমাকে প্যান্ট, অন্তর্বাস ইত্যাদি খুলতে বলেন। ওয়াসিং পোস্টকে জেনাব জানিয়েছেন যে উনার চেকিং এর জন্য স্পেশাল টিমকে পর্যন্ত ডাকা হয়। কারণ উনার কম্পিউটারের পেছনে স্টিকার লাগানো ছিল। একবার তো কুকুরের টিমকে আমার পেছনে লাগিয়ে দেওয়া হয় চেকিং করার জন্য। ঘটনা নিয়ে তথাকথিত সেকুলার মিডিয়া তোলপাড় করলে নান প্রশ্নঃ উঠে। সেই প্রশ্নের উত্তরে এয়ারপোর্টের সুরক্ষা বিভাগ বলে, আমাদের কাছে আমেরিকার জনগনের সুরক্ষা আগে। যা করা হয়েছে ঠিক করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এর জন্য দায়ী কে? একজন সাধারণ মুসলিম মহিলাকে এয়ারপোর্ট এ অপমান সইতে হয়েছে এর জন্য দায়ী কি আতঙ্কবাদ বা উগ্র ইসলামিক মানসিকতা নয়!
সম্প্রতি এক মুসলিম মহিলাকে তার হিজাব খুলে যাওয়া জন্যেও বাধ্য করেছিল আমেরিকান এয়ারপোর্টেরর সুরক্ষারত কর্মীরা। আতঙ্কবাদীদের জন্য একটা পুরো সমাজকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতের জাবেদ আখতার, আমির খান, শাহরুখ খানের মতো লোকজনের দৃষ্টি যাওয়া উচিত, যারা ভারতকে অসুরক্ষিত বা অসহিষ্ণু মনে করে। হিন্দু বহুল ভারতকে অসহিষ্ণু বলা আমির খানের অবশ্যই আমেরিকার জন্যেও অসহিষ্ণুর থেকে বেশি কড়া শব্দ ব্যবহার করা উচিত। আর আমির খান বা তার সাথীরা যদি সেটা না করেন তাহলে সেটা ভণ্ডামি ছাড়া অন্য কিছু নয়।আমেরিকা ও চীন দুই দেশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে কট্টর অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমির খান বা সাথীরা কেউ এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার সাহস করে না।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2lgFQqj
Bengali News