বর্তমান সময়ে ভারতে যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিত্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কট্টরপন্থীদের উৎপাতে মেয়ের সুরক্ষা নিয়ে প্রত্যেক পরিবার চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে ভারতে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারতে যখন মুঘল ও ইংরেজ শাসন ছিল তখনও নারীদের উপর অত্যাচার করা হতো। মুঘল ও ব্রিটিশরা হিন্দু নারীদের শুধুমাত্র সম্পদ মনে করতো, যেমনটা আজকালকার দিনের সিনেমায় দেখানো হয়। মুঘল রাজার মন যে হিন্দু নারীর উপর পড়তো তাকেই তারা শোষন করতো। ভারতের দালাল ইতিহাসবিদরা, পাঠ্যপুস্তকে জিহাদি মুঘলদের সম্রাট ও মহান দেখানোর চেষ্টা করলেও মুঘল রাজার প্রত্যেকে লম্পট ও চরিত্রহীন ছিল। আপনারা india Rag এর নিয়মিত পাঠক হলে এটা নিশ্চয় জানেন যে ভারতে যে ইতিহাস পোড়ানো হয় তা ভারতীয় শিক্ষা ব্যাবস্থা নয় বরং তা মেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা। যা পড়ানো হয় পুরোটাই ভারতীয়দের কাপুরুষ পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র।
তবে সেই সময়েও এমন কিছু মহিলা ছিলেম যারা চরিত্রহীনদের মুখে কালি মাখানোর জন্য যথেষ্ট সাহসী ছিলেন। এমনি এক বীরাঙ্গনা ছিলেন কিরণদেবী। যিনি মহারান প্রতাবের ভাইজি, পৃথীরাজ রাঠোরের ধর্মপত্নী(স্ত্রী) এবং শক্তি সিংয়ের কন্যা ছিলেন। শক্তি সিং এর বিচারে সাথে মহারানা প্রতাবের বিচারের অনেক পার্থক্য ছিল। তাই শক্তি সিং মহারান প্রতাবকে ছেড়ে আকবরের অধীনে থাকতো কিরণদেবী সেই বীরাঙ্গনা ছিলেন যিনি অনুপ্রবেশকারী জিহাদি আকবরের বুকে পা রেখে বলেছিলেন,-‘বল বাদশা তোর শেষ ইচ্ছা কি?’ জানিয়ে দি, ভারতে শাসনকালে মুঘল রাজার মেলার আয়োজন করতো। মেলাতে পুরুষ নিষিদ্ধ ছিল। মেলার আয়োজন এই উদ্যেশে করা হতো যাতে হিন্দু নারী ও কন্যাদের বাছাই করা যায় মুখল জিহাদীদের জন্য।
আকবর নৈরাজের মেলায় শক্তি সিংয়ের কন্যা কিরণদেবীকে দেখেছিল। কিরণদেবীকে দেখার জন্য জিহাদী আকবরের যৌন লালসা তীব্র হয়ে যায় এবং সে এক পরিকল্পনা করে। পৃথ্বীরাজ রাঠোর , আকবরের রাজ্যেই সেনার কাজে নিযুক্ত ছিল। আকবর ষড়যন্ত্র করে পৃথ্বীরাজ রাঠোরকে এক যুদ্ধের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিল এবং কিরণদেবীকেও বাহানা দেখিয়ে দূতদের দ্বারা মহলে আসার নিমন্ত্রণ পাঠিয়ে ছিল। বিদেশী আকবর কিরণদেবীর জন্য প্রস্তুত করে রেখেছিল। কিরণদেবী আসতেই আকবর বলে আমি আপনাকে বেগম করে রাখতে চাই। কিরণদেবী বলেন আমি বিবাহিতা এবং আপনার অধীনে থাকা একজন প্রজা। তাই আমাকে খারাপ চোখে দেখার পরিবর্তে আমাকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আপনার।
কিন্তু আকবর কিরণদেবীর কোনো কথা শুনতে রাজি ছিল না। আকবরের একটাই উদেশ্য ছিল তা হলো কিরনদেবীকে শোষণ করা। তবে পরিস্থিতির দিকে লক্ষ রেখে কিরণদেবী বিচলিত হননি, উনি নিজের মাথাকে শান্ত রেখেছিলেন। জিহাদি লম্পট আকবরের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কিরণদেবীও পরিকল্পনা করে ফেলে। কিরণদেবী তার পরিবার থেকে শেখা যুদ্ধকৌশলকে কাজে লাগিয়ে আকবরকে নিচে ফেলে দেয় এবং ছোরা বের করে আকবরের গলার উপর ধরে। আকবরের বুকে পা রেখে গলায় ছোরা রেখে বীরাঙ্গনা কিরণদেবী বলেন, ” বল বাদশা তোর শেষ ইচ্ছা কি? আমি মহারানা প্রতাবের ভাইজি যার কথা শুনলে তোর রাতের ঘুম উড়ে যায়।” এই শোনার পর আকবর প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভিক্ষা চাই। এরপর কিরণদেবী বেশকিছু বড় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করিয়ে আকবরকে ছাড় দেয়। এরমধ্যে একটা প্রতিজ্ঞা ছিল যে আকবর আর কোনোদিন হিন্দু নারী, কন্যা দেখার জন্য মেলা লাগবে না। আমরা India Rag এর তরফ থেকে কিরণদেবীকে জানাই কোটি কোটি প্রণাম। দুঃখের বিষয় এই যে, ভারতে পাঠ্যপুস্তক তথা ইতিহাস বইতে আকবরকে মহান দেখানোর চেষ্টা করা হয় এবং আসল ইতিহাসকে গোপন করা হয়।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2JrRW8a
Bengali News