ভোটের আগে খোলা হয়েছিল চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুটমিল। আর ভোট আসতেই সেই জুটমিল খুলে দেওয়ার নাম করিয়ে সবার কাছ থেকে ভোটও চাওয়া হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যদিও ভোটের আগে জুটমিল খুললেও কাজ হয়নি। শুধু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলত। প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর ২০ এপ্রিল খুলেছিল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) গত ৩০ এপ্রিল ভদ্রেশ্বর সুভাষ ময়দানের নির্বাচনী সভায় এসে বলেছিলেন, ‘জুটমিল খুলে দিয়েছি। আমরা কোন মিল বন্ধ রাখিনা। আপনাদের সুবিধার জন্যই খুলে দেওয়া হয়েছে। এবার ভোটটা আমাদের দেবেন।”
আর ভোট যেতে না যেতেই বন্ধ হয়ে গেলো চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুটমিল। জুটমিল বন্ধ হওয়ার পরেই ক্ষোভে ফুঁসছে শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের মতে শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির জন্যই জুটমিল খুলে দিয়েছিল তৃণমূল। আর ভোট যেতে না যেতেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হল। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা এই ঘটনার পর এলাকার তৃণমূল নেতা এবং স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা। জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কর্মহীন হয়ে পড়লেন চার হাজার শ্রমিক। আজ সকালে মিলের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে শ্রমিক মহল।
যদিও এই জুটমিল বন্ধ নিয়ে পুরুলিয়ার সভা থেকে উপদ্রবকারীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, ‘শুনলাম চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুটমিল আবার বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ বলবে খুলে দিতে, আবার কেউ বলবে বন্ধ করে দিতে। এগুলো তো হয়না। পুলিশকে ব্যাপারটা দেখার দ্বায়িত্ব দিলাম। আর তেমন কিছু হলে যারা উপ্রদ্রব করছে তাঁদের গ্রেফতার করা হোক।”
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর http://bit.ly/2Ykb7qd
Bengali News