প্রথমত আপনাদের জানিয়ে দি, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল সেই সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আমেঠি ও রাইবেরেলিতে কংগ্রেসের কামান সামলে ছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস মাত্র ২ টি আসন জিতে নিতে পেরেছিল বাকি সব আসন বিজেপি জিতেছিল। এর থেকে আপনি প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রার রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারেন। দেশের দালাল মিডিয়া প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যতই মাতামাতি করুক উনার রাজনৈতিক ক্ষমতা খুবই তুচ্ছ। দালাল মিডিয়া প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রাকে রাজনৈতিক স্টার করার জন্য নেমে পড়েছে।
তবে এই দালাল মিডিয়ার শক্তিকে কম ভেবে নিলে সেটা বিজেপি বা বিজেপি সমর্থকদের জন্য বড় ভুল হবে। কারণ এই দালাল মিডিয়ায় কেজরিওয়ালের মতো দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাকে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিল।দালাল বামপন্থী মিডিয়া মানুষের ব্রেন ওয়াস করতে এতটাই পরিপক্ক যে অযোগ্য নেতাদেরকেও এরা শীর্ষে উঠিয়ে দিতে পারে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতি দূরদর্শীতা কতটা তা সবথেকে বেশি ভালো বিশ্লেষণ করতে পারেন সুভ্রমানিয়াম স্বামী। এর কারণ সুভ্রমানিয়াম স্বামী এক সময় রাজীব গান্ধীর খুব ঘনিষ্ট ছিলেন। সেই সময় রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা বড় হচ্ছিলেন। স্বামী বলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তো রাহুল গান্ধীর থেকেও বড় পাপ্পু। কিন্তু দেশের দালাল মিডিয়া প্রিয়াঙ্কা বড় স্তরের নেতা হিসেবে দেখাতে শুরু করেছে।
টাকা নিয়ে রিপোর্টিং করা মিডিয়া এত নিচ স্তর অবধি নেমেছে যে প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রা/ গান্ধীকে মোদীর স্তরের নেতা বলতেও একটু লজ্জাবোধ করছে না। দালাল মিডিয়া দাবি করছে যে প্রিয়াঙ্কা আসার সাথে সাথে রাজনীতি বদলে যাবে। কিন্তু কোথায় আছে যে খারাপের মধ্যেও ভালো লুকিয়ে থাকে। সেইভাবে দালাল মিডিয়ার মধ্যে কিছুজন আছেন যারা সত্য বলার সাহস রাখে। এর এমনি একজন সাংবাদিকের নাম অনুরাগ মুসকান।
অনুরাগ বলেছেন প্রিয়াঙ্কার উচিত বারাণসী থেকে মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন লড়াই করে যাতে উনার ভুল ধারণা ভেঙে যায়। মনের মধ্যে ভুল ধারণা পুষে রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। প্রিয়াঙ্কা যদি নিজেকে মোদীর লেভেলের নেতা মনে করে তাহলে অবশ্যই তার উচিত বারাণসী থেকে লড়াই করা। এতে জনগণও দেখতে পাবে যে মর্ডাণ ইন্দ্রিরা মোদীর থেকে কত লক্ষ ভোটে হারে।
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2RORpnM
Bengali News