অন্ধ্রপ্রদেশের ভারাঙাল এলাকায় এক মুসলিম কট্টরপন্থী যুবক এক পুজারীকে বেধড়ক পিটিয়েছিলো। যারপর উনাকে চিকিৎসার জন্য হিন্দুরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই পূজারী মারা যান। এরপর বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বিজেপি রাস্তায় নেমে বিক্ষোপ প্রদর্শন শুরু করেছে। বিজেপি ও বিশ্বহিন্দু পরিষদ অভিযুক্তের বিরুদ্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছে। আসলে ভারাঙাল জেলায় বিগত ২৬ অক্টোবর এক সাই মন্দিরের পূজারীকে কট্টরপন্থী মুসলিম যুবক বেধড়ক পিটিয়ে মারে। কট্টরপন্থী মুসলিম যুবকের নাম সাদিক হোসেন যার বছর ৩২ বছর। আসলে মন্দিরে একটা লাউড স্পিকার রয়েছে যেটা পুজোর সময় বাজানো হয়। ২৬ অক্টোবর তারিখে লাউড স্পীকার বাজানো হচ্ছিল সেই সময় প্রতিবেশী কট্টরপন্থী সাদিক হোসেন এসে লাউড স্পীকার সরানোর দাবি তোলে।
সাদিক এই নিয়ে মন্দিরের পূজারী সত্যানারায়ন শর্মার(৬৮) সাথে ঝগড়া লেগে যায় এবং মারধর করতে শুরু করে। সাদিক হোসেন নৃশংসভাবে পূজারীকে পিটিয়েছিলো যারপর উনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু অবস্থা খুব গম্ভীর দেখে আহত পূজারীকে হায়দ্রাবাদে রেফার করা হয়েছিল। বলা হচ্ছে হায়দ্রাবাদে চিকিৎসার সময় পূজারী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পূজারীর মৃত্যুর পর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। জানিয়ে দি মিডিয়া ও প্রশাসন দুই পক্ষই এই বিষয়ে নিশ্চুপ হয়ে বসেছিল। এরপর বিজেপি ও বিশ্বহিন্দু পরিষদ রাস্তায় নেমে লাগাতর বিক্ষোপ প্রদর্শন করার পর অভিযুক্ত সাদিক হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধারা ৪৫২ ও ধারা ৩০২ এর ভিত্তিতে FIR দায়ের করা হয়েছে। তবে অনেকের বক্তব্য পুলিশ ও প্রশাসনে স্থানীয় কট্টরপন্থীদের হাত থাকায় পুলিশ কোনো বাবস্থাকে নেবে না। স্থানীয়রা জানিয়েছে সাদিক কট্টর হিন্দু বিরোধী মানসিকতার ব্যাক্তি তাই বার বার মন্দিরে থেকে আওয়াজের বিরোধ করতো এবং ওইদিন সে পূজারীকে পিটিয়ে মারার পরিকল্পনা করেই মন্দিরে ঝগড়া করতে এসেছিলো জানিয়ে দি দেশের কোনো মিডিয়া এই ঘটনা নিয়ে নিন্দা তো দূর, ঘটনার বিবরণ পর্যন্ত দেয়নি। কারণ মিডিয়া মনে করে এতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা নষ্ট হয়।
from India Rag : Bengali News, 24 Ghanta, Bangla News, Ebela, Eisamay, Kolkata News, খবর , https://ift.tt/2RBd8Lk