ভারতের কোনো ইউনিভার্সিটি বা কলেজে যদি গীতার কোনো শ্লোক পড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে দেশের সেকুলার ও বামপন্থীরা বিলবিল করতে শুরু করে। কিন্তু ইসলামিক দেশ UAE তে ভাগবত গীতার উপর সম্পূর্ন কোর্স পড়ানো হচ্ছে। দুবাইতে ইউনিভার্সিটির পাঠ্যক্রমে গীতাকে সামিল করা হয়েছে। দুবাইয়ে মানুষ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়ছে এবং তার উপর পরীক্ষাও দিচ্ছেন। আমরা এর আগেও এই খবর প্রকাশিত করেছিলাম কিন্তু তখন এই খবরের পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের কাছে ছিল। জানিয়ে দি, দুবাইয়ে বিটস পিলানি ক্যাম্পাসে গীতার প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে যার ছবি নীচে দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্নপত্রে গীতার উপর নানা প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে পাণ্ডব, কৌরব,ভগবান কৃষ্ণ, শান্তি , আত্মা ও গীতার নানান তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
এটা শুধুমাত্র প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এখন পুরো কোর্সের উপর ছাত্রদের জানানো হবে এবং অনেকগুলো সেমিস্টার বাকি রয়েছে। পাশ্চাত্যের ইউরোপের দেশগুলিও পাঠ্যক্রমে গীতা, রামায়ণ ও মহাভারত সামিল করেছে। ইউরোপের দেশগুলির দাবি জ্ঞান ছাড়া মানুষ পশুর সমান আর মানুষ হওয়ার জন্য অবশ্যই গীতার জ্ঞান প্রয়োজন, তাই তারা পাঠ্যক্রমে গীতা সামিল করেছে।
লক্ষণীয় বিষয় এই যে ইউরোপে দেশগুলিতে সমস্থকিছু সঙ্গস্কৃতি ভাষাতেই পড়ানো হচ্ছে কারণ সম্প্রতি এক সার্ভেতে প্রমাণিত হয়েছে, সঙ্গস্কৃতি ভাষায় যারা নিয়মিত চর্চা করে তাদের মাথার কাজশক্তি অন্যদের তুলনায় তিনগুন বেশি হয়। তবে ইসলামিক দেশে বা ইউরোপের দেশে গীতা, রামায়ণ, মহাভারত পড়ানো হলেও ভারতে এই সমস্থকিছু পড়ানো হবে না।
কারণ বামপন্থী, কংগ্রেস ও সেকুলারদের মতে গীতা পড়ানো হলে দেশের ধৰ্মনিরিপেক্ষতা নষ্ট হবে, সাম্প্রদায়িকতা নষ্ট হবে। এমনকি কিছু বুদ্ধিজীবী তো “বন্দেমাতারম” কেউ হিন্দু ধর্মের প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করে। অন্যান্য দেশ এখন ভারতের প্রাচীন ও মহান সঙ্গস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য উৎসুক হলেও, এদেশে হিন্দু ধৰ্ম সম্পর্কে লাগাতার ঘৃণা ছড়াতে ব্যাস্ত থাকে সেকুলারপন্থীরা।
পাঠকদের জন্য প্রশ্নঃ ভারতের সমস্থ স্কুল কলেজে গীতা পড়ানো আবশ্যক করা উচিত?
from India Rag : Bengali News, 24 Ghanta, Bangla News, Ebela, Eisamay, Kolkata News, খবর , https://ift.tt/2yx7SRE