২০১৮ সালে ভারতের কাছে সবথেকে বড় দিনগুলির মধ্যে আজ একটি। কারণ আজ মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল সামনে চলে এসেছে। মালদ্বীপের বর্তমান রাষ্ট্রপতি এখন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিতে পরিণত হয়েছে। আব্দুল্লা ইয়ামিনকে, ইব্রাহিম সলিহ হারিয়ে দিয়েছেন। এবার ইব্রাহিম সলিহ মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি হবেন এখন এটা ভারতের জন্য কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা জানার পর আপনিও খুশি হবেন। আসলে মালদ্বীপ সুমদ্রে ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত রয়েছে। শুরু থেকেই মালদ্বীপ ভারতের সাথে সংস্পর্শ বজায় রেখে চলে কারণ ভারত ছাড়া মালদ্বীপের কোনো উন্নতি সম্ভব নয়। এমনকি পানীয় জল পর্যন্ত ভারত থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু বিগত কিছু বছর থেকে চীন লাগাতার মালদ্বীপের উপর অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে চীন মালদ্বীপকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল এবং কিছু দিয়েওছে। চীন এমন করছে কারণ তারা মালদ্বীপে সৈন্য আড্ডা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছিল যা ভারতের জন্য খুবই খারাপ বিষয় হবে।
চীন মালদ্বীপে যেকোনোভাবে নৌ আড্ডা তৈরি করতে চায় যা ভারতের জন্য খুব ক্ষতিকর একটা ব্যাপার হবে। কারণ মালদ্বীপে চীন একবার প্রবেশ করলে তারা ভারতকে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হবে। এতদিন পর্যন্ত যিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইয়ামিন চীনের সমর্থক ছিলেন এবং উনি নানাভাবে মালদ্বীপে চীনকে প্রবেশ করানো চেষ্টায় লেগেছিলেন। এমনকি নির্বাচনের সময়কালেও ইয়ামিন খুব গোলমাল করার চেষ্টা করেছিল এবং চীন এই কাজে তাকে সাহায্যও করেছিল।
অর্থ থেকে শুরু করে অন্যান্য নানান বিষয়ে চীন ইয়ামিনকে সাহায্য করেছিল নির্বাচনে গোলযোগ করার জন্য। অন্যদিকে ইব্রাহিম সালেহ ভারতের সমর্থক। মোদী জানতেন যদি মালদ্বীপে ইয়ামিন জয়লাভ করে তাহলে তা ভারতের জন্য একটা বড়ো বিপদ হবে। তাই মোদী ও অজিত ডোভাল মালদ্বীপে RAW কে সক্রিয় করেন। তাই শেষ পর্যন্ত প্রচন্ড চেষ্টার পরেও চীন ও ইয়ামিনকে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। নির্বাচনে ভারতের সমর্থক ইব্রাহিম সালেহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। চীন তাদের সমস্থ শক্তি প্রয়োগ করেছিল কিন্তু শেষ অবধি মোদী চীন ও জিনপিংকে মার দিয়েছেন।
ভারতের জন্য এটা একটা বোড়ো জিত, ইব্রাহিম সলিহ প্রথম থেকেই ভারতের সমর্থক রয়েছেন এবং এখনো ভারতকে গুরুত্ব দেবেন। আসলে মোদী তার মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োগ করে একটা বড়ো জয় লাভ করেছেন এবং ভারতকেও সুরক্ষা প্রদান করেছেন। GDP গ্রোথ রেট হোক বা গ্লোবাল লিডারে জনপ্রিয়তার তুলনা হোক, সমস্থ স্তরেই মোদী জিনপিংকে হারিয়েছেন। জানিয়ে দি, যারা সাধারণ দাম বৃদ্ধির ব্যাপার নিয়ে সরকার বদলানোর কথা চিন্তা করে তাদের জন্য এটা বড়ো খবর না হলেও ভারতের সক্রিয় সচেতন মানুষের জন্য এটা খুবই বড়ো একটা ব্যাপার।
from India Rag : Bengali News, 24 Ghanta, Ebela, Eisamay, Kolkata News, খবর , https://ift.tt/2QVLqsV