কাঁচা তেলের উৎপাদন ভারতেও হয়, কিন্তু আমাদের দেশের চাহিদা অনেক বেশি যার তুলনায় অনেক কম কাঁচা তেল আমাদের দেশ উৎপাদন হয়। এই কারণে ৮০% তেল ভারতকে বাইরে থেকেই আমদানি করতে হয়। কাঁচা তেলের সবথেকে বড়ো ভান্ডার ভেনেজুয়েলায় রয়েছে। কিন্তু ভারত থেকে দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে আমরা এই তেল খাড়ি দেশগুলি থেকেই আমদানি করে থাকি। এই সমস্থ খাড়ি দেশগুলির মধ্যে ইজরায়েল ছাড়া বাকি সবগুলি ইসলামিক দেশ। এমনিতে ভারতের মতো বড়ো দেশকে তেল বন্ধ করতে পারবে না এই ইসলামিক দেশগুলি। তেলের ব্যাবসার উপরেই এইসব দেশের অর্থনীতি টিকে রয়েছে। তবে ১৯৯০-১৯৯৩ সালের সময়কালে ভারতকে কাঁচা তেলের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, কারণ সেই সময় ইরান,ইরাককে নিয়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়েছিল। কংগ্রেস দেশে বহু বছর রাজত্ব করার পরেও আপাতকালীন অবস্থায় কাঁচা তেলের ব্যাবহার কিভাবে হবে তা নিয়ে কোনো চিন্তা করেনি।
এমনিতেই ইসলামিক দেশগুলি মিলে বৃহত্তর ইসলামিক সেনা তৈরি করছে, এই সেনা আতঙ্কবাদীদের সাথে মিলে ভারতকে আক্রমন করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই কাঁচা তেলের ব্যাপারে ভাবনা কতটা প্রয়োজন তা যেকোনো ব্যাক্তির কাছে স্পষ্ট। দেশে অটলজির সরকার আসার পরই কাঁচা তেল জমা করতে শুরু করেছিল কিন্তু পরে কংগ্রেস মানুষকে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে আটলজিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। তারপর থেকে কংগ্রেস আতালজির কাঁচা তেল সংরক্ষণের কোনো কাজে জোর দেয়নি।
এখন মোদী সরকার আসার পর আবার সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। মোদী সরকার লাগাতার দেশে কাঁচা তেলের সংরক্ষণে লেগে পড়েছে, যদিও বামপন্থী মিডিয়া বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ভারত ৫.৬৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন কাঁচা তেল সংরক্ষণ করে নিয়েছে। লক্ষ রাখা হয়েছে মোট ৭ মিলিয়ন মেট্রিকটন কাঁচা তেলের। আপাতকালীন পরিস্থিতিতে ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল ২৫ দিন ভারতকে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চালাতে পারবে। এই ২৫ দিনের মধ্যে ভারত খুব সহজেই দূরবর্তী দেশগুলি (আমেরিকা বা ভেনিজুয়েলা) থেকে তেল আমদানি করতে পারবে।
যদি পাকিস্থানের সাথে ভারতের যুদ্ধ হয় তাহলে ইসলামের নামে বাকি দেশগুলি ভারতকে তেল প্রদান বন্ধ করে দেবে যার জন্য তখন ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে ইসলামিক খাড়ি দেশগুলি। এখন যদি আমাদের কাছে ২৫ দিনের তেল ভান্ডার থাকে তাহলে সেনা বিনা দ্বিধায় পাকিস্থানকে টুকরো করতে পারবে। যদি পাকিস্থানের সাহায্য করতে পুরো ইসলামিক সেনা নেমে পড়ে তাও সামলে নিতে পারবে ভারতীয় সেনা।
কারণ CIA এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইসলামিক দেশের মোট সেনাকে হারাতে ভারত খুব বেশি হলে ১৪ দিন সময় নেবে। তাই ২৫ দিনের তেল সঞ্চয় ভারতের জন্য যথেষ্ট হবে যার ফলে ওই সময়কালে আমেরিকা বা ভেনেজুয়েলার কাছে থেকে তেল আমদানি করা যাবে। আগের বাজেটে উড়িষ্যার চান্দিখলে ২ টি তেল সংরক্ষণ ট্যাঙ্ক তৈরির ঘোষণা করা হয়েছিল যার কাজ চলছে। ভবিষ্যতের ভারতকে সমস্থদিকে সুরক্ষিত করার জন্য নরেন্দ্র মোদীর সরকার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনার সাথে কাজ করে চলেছে।
The post যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে ভারতীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার যা করলো জানলে আপনিও গর্বিত হবেন। appeared first on India Rag.
from India Rag https://ift.tt/2O167oY