শিলিগুড়ি: পাহাড়ের অস্তিত্বের সংকটে বিমল গুরুং। পুড়ে ছাই হয়ে গেল মোর্চা সুপ্রিমোর কয়েকজন সহযোগীর বাড়ি। নিশানায় ছিল গুরুংয়ের বাড়ি ও মোর্চার প্রধান কার্যালয়। জ্বলে-পুড়ে খাক দীনেশ সুব্বা-সহ বেশ কয়েকজন মোর্চা নেতার বাড়ি।ভস্মীভূত হয় একটি রেশন দোকানও।পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আচমকাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পাতলেবাস গ্রামে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকল। আগুন নেভাতে সকাল হয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা দীনেশ সুব্বার বাড়িতেই মূলত আগুন লাগানো হয়। পরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দীনেশ সুব্বা-সহ স্থানীয় পাঁচ মোর্চার নেতার বাড়িতে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে আগুন লাগানোর চেষ্টা হলেও, বিমল গুরুংয়ের বাড়ি ও মোর্চার দলীয় কার্যালয়ের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে হতাহতে কোনও খবর নেই। কারণ যে সমস্ত বাড়িতে আগুন লেগেছে সেখানে কেউ ছিলেন না। পুলিশি ধরপাকড় শুরু হওয়ায় গুরুয়ের ছায়াসঙ্গীরাও অন্তরালে। তবে এই ঘটনায় পুলিশের হাত দেখছে গুরুপন্থীরা। তাদের অভিযোগ গুরুংকে ধরতে না পারায় হতাশায় পুলিশ আগুন লাগায়। তবে প্রশাসনের পালটা বক্তব্য, প্রমাণ লোপাট করতে এই কাজ করেছে গুরুং অনুগামীরা।দার্জিলিংয়ের শিরুবাড়ির জঙ্গলে মোর্চার সমর্থকদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অমিতাভ মালিকের। ঘটনার পর মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে জালে তুলতে পাহাড়ে কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতভর চলে পুলিশি অভিযান। অভিযান হয়েছে শনিবারও। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র, গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক গুরুংপন্থী নেতা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটল মোর্চার দুর্গ বলে পরিচিত পাতলেবাসে।তবে পুলিশের জাল এড়ালেও পাহাড়ের বুদ্ধিজীবী মহল থেকে সাধারণ মানুষের কাছে শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে কার্যত ভিলেন হয়ে গিয়েছেন গুরুং। তিনি নিজে যতই ফের পাহাড়ে প্রকাশ্যে আসার কথা ঘোষণা করলেও, এসআই খুনের পর সেই সুযোগ আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান গুরু ঘনিষ্ঠরাই। জানা গিয়েছে, পুলিশের উপর হামলার মতো জঙ্গিপনায় গুরুংয়ের অনুগামীদের একাংশ ক্ষুব্ধ।
পুড়ে ছাই গুরুং ঘনিষ্ঠদের বাড়ি, নিশানায় মোর্চা এর প্রধান কার্যালয়
