বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। তবে বিধানসভা থেকে নির্বাচিত নন মমতা ব্যানার্জী। এর কারণ নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জী প্রার্থী হলেও বিজেপির কাছে হারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মমতা ব্যানার্জীকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নাহলে মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না।
এখন নভেম্বর মাসের মধ্যে উপ- নির্বাচন না হলে সমস্যায় পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন থেকেই নির্বাচন করানোর জোর আওয়াজ তুলতো দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। অবশ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের উপর ভোট করানো নিয়ে আক্রমন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। অন্যদিকে এখন করোনা পরিস্থিতিতেও ভোট করাতে ব্যাকুলভাবে দাবি তুলেছে মমতার দল।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা তৃণমূলের চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এখনও করোনার তৃতীয় ঢেউ আসা বাকি। সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু রাজ্য এর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ম না মানার খবর আসছে।
চিঠিতে রাজ্যের প্রশাসনকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট করানো হবে কিনা তা নিয়ে বড়ো চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী লাগাতার করোনা নিয়ে সচেতনতা ছড়ানোর ডাক দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকেও বসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বোঝাই যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও একেবারে নিশ্চিন্ত হতে পারেনি কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কমিশন আদেও উপ-নির্বাচন করাবে কিনা তা নিয়েও শুরু হয়েছে আশঙ্কা। নির্বাচন নিয়ে মমতা ব্যানার্জী কতটা চিন্তিত তা স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে তার কথায়।
রাজ্যে উপনির্বাচন না হওয়ার জন্য বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা ব্যানার্জী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল ভবানীপুরের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখছিলাম। আমি দেখতে পেরেছি যে, সেখানে অনেক জায়গায় কোভিড একেবারে শূন্য। পুরো জিরো, জিরো, জিরো। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যসভার দুটো আসনে নির্বাচন করানো নিয়ে আমাদের মতামত চেয়েছিল কমিশন। রাজ্যের তরফ থেকে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন যে, আমরা তৈরি আছি। রাজ্যসভার দুটি আসনের পাশাপাশি বিধানসভাগুলিতে উপনির্বাচন করানোর জন্য আমরা প্রস্তুত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের নিয়ম মাফিক ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। আমরাও তাই চাইছি। কিন্তু উপনির্বাচন করানোর বিরোধিতা করছে বিজেপি। কারণ ওঁরা হারার ভয় পাচ্ছে। বারবার ইলেকশনে হেরে যায় তো।
একদিকে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে যেমন উপনির্বাচন করানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আরেকদিকে, বিজেপিও তখন রাজ্য থেকে কার্যত লকডাউন তুলে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে। বিজেপির মতে, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করাতে চাইছেন কিন্তু রাজ্য থেকে লকডাউন তুলতে চাইছেন না। তিনি ট্রেন বন্ধ করে নির্বাচন করাতে চাইছেন।
বিজেপির মতে, উপনির্বাচনের কথা উঠলেই মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু লকডাউন তুলে ট্রেন চালানোর কথা বললেই তিনি বলেন, এখন ট্রেন চললে দুনিয়ার লোকের কোভিড হবে, তখন দায় কে নেবে? মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্বার্থে উপনির্বাচন করাতে চান, কিন্তু মানুষের স্বার্থে লোকাল ট্রেন চালাতে চান না। কেন এমন দ্বিচারিতা?
The post আদেও কি নির্দিষ্ট সময়ে হবে উপনির্বাচন! তৃণমূলের চিন্তা বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি first appeared on India Rag .from India Rag https://ift.tt/3et3nwB
Bengali News