আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কোনো বড়ো দেশ তার চারিপাশে থাকা ছোটো ছোটো দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এর সবথেকে বড়ো উদাহরণ চীন ও আমেরিকাকে দেখলেই বোঝা যায়। বিশেষ করে চীন প্রতিক্ষণ ছোটো প্রতিবেশী দেশের জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টায় থাকে। এই দিক থেকে ভারত একমাত্র ব্যাতিক্রম দেশ যে সর্বদা প্রতিবেশী দেশগুলিকে ঢেলে সুযোগ সুবিধা দিতে পিছুপা হয় না।
শ্রীলঙ্কা, ভুটান, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বিদেশনীতি দেখলে তা স্পষ্ট চোখে পড়ে। তবে অনেক সময় বেশি লাভের লোভে পড়ে ছোটো ছোটো দেশগুলি দড়ি টপকে ঘাস খাওয়ার চেষ্টায় নিজের পায়ে কুড়াল মারে। সম্প্রতি এমনই চর্চা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রবল হয়েছে। আসলে বাংলাদেশে রেলওয়ের প্রায় ৭০% লোকোমোটিভের সার্ভিস লাইফ সমাপ্ত হয়েছে। ফলস্বরূপ বাংলাদেশ রেলওয়ে রীতিমতো সংকটে পড়েছে।
বাংলাদেশকে সাহায্যর জন্য ভারত সরকার প্রায় ১০ টি ডিজেল লোকোমোটিভ বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। ১০ টি ডিজেল লোকোমোটিভ একেবারে নতুন না হলেও ৩০ বছর সার্ভিস লাইফ সম্পন্ন। তবে বাংলাদেশ সরকার ডিজেল লোকোমোটিভ কেনার জন্য ভারতের পরিবর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে পৌঁছে যায়।
৩০০০ কোটি বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে হয় লোকোমোটিভ দেওয়ার চুক্তি। দক্ষিণ কোরিয়া ৬৫% টাকা নিয়ে ইঞ্জিন বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে অবাক হওয়ার ইঞ্জিনগুলি এখন বাংলাদেশের রেল ওয়ার্কশপে পড়ে রয়েছে। আসলে অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে ভুল ভাল ইঞ্জিন দিয়েছে। অর্থাৎ যে ইঞ্জিনের জন্য বাংলাদেশ এত টাকা দিয়েছে সেই সমস্ত বিশেষত্ব ইঞ্জিনগুলির মধ্যে নেই।
অভিযোগ এও উঠেছে যে বাংলাদেশের সিনিয়র অফিসাররা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে চুক্তির সময় দুর্নীতি করেছে। আর এই কারণেই নাকি বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই ঘটনার অনেক ভারতীয় মুখে হাসি ফুটেছে। যার মূল কারণ এবার বাংলাদেশ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন কেনার বিষয়ে ভারতের সাথে চুক্তি করতে পারে বলে অনেক রিপোর্ট সামনে এসেছে।
অনেকে বলেছেন, ভারত যখন বাংলাদেশকে ১০ টি ইঞ্জিন উপহার দিয়েছে তখন এই চুক্তি ভারতের সাথেই করা উচিত ছিল। বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাহায্যকে মর্যাদা না দিয়েই এমন ক্ষতির মুখে পড়েছে।
The post ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশের থেকে ইঞ্জিন কেনার চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ! ডুবল কয়েক হাজার কোটি টাকা first appeared on India Rag .from India Rag https://ift.tt/3jN0cDo
Bengali News