হাজারীবাগঃ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব রাজনৈতিক মহলে অপরিচিত নয়। কিন্তু তা বলে ভারতের নবজাগরণের জনক রাজা রামমোহন রায়ের বিরুদ্ধচারণ! হ্যাঁ ভাবতে অবাক লাগলেও ঝাড়খন্ডে ঠিক এই ঘটনায় ঘটেছে।
হাজারীবাগে রাজা রামমোহন রায়ের নামাঙ্কিত একটি রাস্তার নামবদলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে বিভিন্ন মহল। বহু পুরনো এই রাস্তার নাম বদলে হোলিক্রস রোড করা হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেট নাগরিকদের একাংশ।
প্রাক্তন উপাচার্য ড: অচিন্ত্য বিশ্বাস ফেসবুকে ‘প্রতিবাদ করুন’ শিরোনামে লিখেছেন, হাজারীবাগে রাজা রামমোহন রায়ের নামে একটি পথ হঠাৎ করে হোলিক্রস রোড নামকরণ করা হয়েছে। রাজা রামমোহন রায়ের জন্মের ২৫০ বর্ষ উদযাপন চলছে দেশজুড়ে। সেই সময় এই বিচিত্র সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ঝাড়খন্ড বাঙালি সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে, প্রতিবাদ করেছে, আসুন আমরাও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী আদিদেবানন্দ বলেছেন, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যোগীজী ছাড়া কেউ দেশকে এবং হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। চারিদিকে অদ্ভুত নৈরাজ্য চলছে। জেহাদী অনুপ্রবেশ, ধর্মান্তরকরণ টিকাইতের মত রাষ্ট্রবিরোধী নেতারা দাদাগিরি করছে। দেশজুড়ে গুন্ডাগিরি, দুর্নীতি দেশটাকে দ্রুত সর্বনাশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
সনৎ কুমার রায় নামের একজন লিখেছেন, প্রতিবাদের ঝড় তো উঠবেই, মাননীয়া কি বলবেন? সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন কীভাবে জানাবো আমরা এই প্রতিবাদ? ঝাড়খন্ড এখন “জয়বাংলা” বন্ধু সরকার।
সুব্রত দাস, মনীষ সিনহা রায়ের মতো ব্যক্তিরা লিখেছেন, মনে হচ্ছে রাজা রামমোহন রায়ের সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পছন্দ হয়নি। তবে ওদের বোধহয় জানা নেই ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করার পিছনেও এই মানুষটির বিশেষ উদ্যোগ ছিল। সুতরাং হোলিক্রসধারী ব্যক্তিদের রামমোহন রায়ের ওপর আদতে রেগে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা বিনা কারণে নাম পাল্টেছেন সেই অশিক্ষিতরা হয়তো রামমোহন রায়কে শুধুমাত্র জানেনই না এমন নয় তার নাম পর্যন্তও শোনেননি। তাঈ শুধু বাঙালি কেন জাতীয় স্তরে সর্বতোভাবে কঠোর প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।
The post ‘রামমোহন রায়” রাস্তার নাম পাল্টে ‘হোলিক্রস রোড”, প্রকাশ্যে বাঙালি বিরোধিতা সোরেন সরকারের first appeared on India Rag .from India Rag https://ift.tt/3Bavn1s
Bengali News