-->
Powered by Blogger.

Featured post

রুশ ইউক্রেনের টক্কর এখন অতীত! পাকিস্তানের মাটিতে পড়ল ভারতের সুপারসনিক মিসাইল

“বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট”-ভারতের (India) ডিফেন্স মিনিস্টার থেকে সম্প্রতি এক বার্তা আসার পর বিশেষজ্ঞরা একথা বলছেন। শুক্রবার পাকিস্তান...

Popular Posts

হিন্দু ঋষিদের থেকে পুরো বিশ্ব গণিত শিখেছে, প্রাচীন শিক্ষাকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন: জনাথন জে ক্র্যাবট্রি , বিখ্যাত গণিতজ্ঞ

- August 16, 2020

এক সময় ছিল যখন ভারতে নালন্দা, তক্ষশীলার মতো বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করতো। যেখানে শিক্ষা নেওয়ার জন্য দেশ বিদেশের ছাত্ররা ব্যাকুল হয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকতো। ইউরোপের যখন সভ্যতার বিকাশ পর্যন্ত ঠিকঠাক হয়নি তখন ভারত চিকিৎসা, বিজ্ঞান, গণিত সবদিক থেকে ভারত বিশ্বগুরু ছিল। তবে কলক্রমে ভারতের শিক্ষা, বিজ্ঞান সমস্তকিছু পতনের দিকে অগ্রসর হয়। যার সুযোগ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি বিকশিত হতে শুরু করে। তবে এটা সত্য যে ভারতের যতই প্রাচীন ইতিহাসে যাওয়া যায় ততই উন্নত শিক্ষা, বিজ্ঞানের ছবির দেখা মেলে।

মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে যখন হিন্দুরা রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে পুস্পক বিমানের কথা বলতো তখন অন্যান্য জাতিরা হিন্দুদের মূর্খ বলতো। কারণ তখন বিমান তৈরি করে আকাশে উড়া সম্ভব তা মানুষের কল্পনার বাইরে ছিল। একইভাবে হিন্দুরা পঞ্জিকা দেখে যখন সূর্য গ্রহণ,চন্দ্র গ্রহণের কথা বলতো তখন ইউরোপের সমাজ ভারতীয়দের কুসংস্কারছন্ন বলে কটাক্ষ করতো। তবে আধুনিক বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার সাথে সাথে বাস্তব সামনে চলে এসেছে।

বর্তমানে বিশ্বের নানা প্রান্তের বিশেষজ্ঞরা হিন্দুদের প্রাচীন গৌরবকে পুনরুত্থান করার ডাক দিচ্ছেন। এই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত গণিত বিশেষজ্ঞ জনাথন জে ক্র্যাবট্রি (Jonathan J Crabtree)। এই গণিত বিশেষজ্ঞ এর মতে হিন্দুদের প্রাচীন ও মহান শিক্ষাব্যাবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে,যার নতুন করে উত্থানের প্রয়োজন রয়েছে। গণিত বিশেষজ্ঞ জনাথন জে ক্র্যাবট্রি ভারতে এক বিশেষ মিশন নিয়ে সক্রিয় আছেন। উনি ভারতে প্রাচীন সময়ের ব্রহ্মগুপ্তের গণিত স্কুলে স্কুলে শেখানোর জন্য প্রয়াস চালাচ্ছেন।

জনাথন জে ক্র্যাবট্রি এর মতে গণিতের উদ্ভব ভারত থেকেই যা কপি করে ইউরোপে পৌঁছেছিল। সেই কপি আবার এখন ভারতে পড়ানো হচ্ছে। তবে ভারত থেকে যখন গণিত ইউরোপে গেছিল তখন তা বিকৃত হয়ে পড়ে। যারফলে বর্তমানে হিন্দুদের প্রাচীন গণিত বিকৃত হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মগুপ্ত ৫ টি শ্লোকে ১৮ টি সূত্র প্ৰকাশ করেছিলেন যা ইউরোপে গিয়ে বিকৃত হয়ে পড়ে। পজেটিভ ও নেগেটিভ এর ক্ষেত্রে ব্রহ্মগুপ্তের দেওয়া সূত্র এখন স্কুলে স্কুলে বিকৃতরূপে পড়ানো হয়।

জনাথন জে ক্র্যাবট্রি শুন্যে এর যে সংজ্ঞা দিয়েছিলেন তা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে পড়েছে। নেগেটিভ (-) এর সাথে নেগেটিভ(-) গুন কবলে কিভাবে পজেটিভ(+) হয়, এর সঠিক ব্যাখ্যা বর্তমানের গণিত দিতে পারে না। কিন্তু শুন্যের ব্যাবহার করে ব্রহ্মগুপ্ত এর সঠিক ব্যাখ্যা করেছিলেন। বর্তমানে পজেটিভ ও নেগেটিভ বিষয়ে ব্যাখ্যা অত্যন্ত ভ্রমিত করার বিষয়। কিন্তু ব্রহ্মগুপ্তের মতে এক মিটার উঁচু স্থান যদি পজেটিভ ধরা হয় তাহলে এক মিটার নিচু নেগেটিভ হবে। বর্তমান গণিত অনুযায়ী মাইনাস 1 এর থেকে মাইনাস 10 ছোটো সংখ্যা। অর্থাৎ মাইনাস 1 বড়ো

অন্যদিকে ব্রহ্মগুপ্তের গনিত অনুযায়ী মাইনাস 10 বড়ো মাইনাস 1 এর থেকে। অর্থাৎ ১ মিটারের গর্ত ১০ মিটারের গর্ত থেকে ছোট হবে। জনাথন জে ক্র্যাবট্রি বর্তমানে এই বিষয়গুলির উপর কাজ করছেন এবং নতুনভাবে ভারতের গণিতবিদ্যাকে তুলে ধারার মিশনে কাজ করছেন।



from India Rag https://ift.tt/31ZVJm3
Bengali News
 

Start typing and press Enter to search