নয়া দিল্লীঃ ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) নিজেদের সবথেকে ঘাতক স্বদেশী লড়াকু হেলিকপ্টার রুদ্রকে (HAL Rudra) লাদাখে (ladakh) মোতায়েন করেছে। নিজের অনেক উন্নত টেকনোলোজির কারণে রুদ্র আমেরিকা থেকে আনা অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের থেকেও ভালো। বিশেষকরে হাই অ্যাল্টিটিউড ওয়ারফেয়ারে রুদ্র অ্যাপাচের থেকেও উন্নত। আর চীনের তরফ থেকে ভারত-চীন সীমান্তে মোতায়েন লড়াকু হেলিকপ্টার Z-19 এর থেকে হাজার গুণে উন্নত।
রুদ্রকে বায়ুসেনা লাদাখে থোইস এয়ারবেসে মোতায়েন করেছে। সেখান থেকে এই হেলিকপ্টারের জন্য LAC সেই সমস্ত এলাকায় যেতে খুব সহজ হবে, যেখানে চীন নিজেদের ট্যাংক, আর্মড বাহন আর সেনার আস্তানা বানিয়ে রেখেছে। রুদ্র ২৫০ কিমি প্রতিঘণ্টা গতিতে উড়তে সক্ষম। আর ২০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারবে। কিন্তু যেটা এই হেলিকপ্টারকে আমেরিকার অ্যাপাচে থেকেও বিপদজনক বানায়, সেটা হল এর ওজন।
রুদ্রর ওজন ৫.৮ টন আর আমেরিকার অ্যাপাচের ওজন ১০.৪ টন। লাদাখের উচ্চতায় তো কম ওজন আরও বেশি করে কাজ করতে সাহায্য করে। আর এর ছোট আয়তন শত্রু পক্ষের নাগালেও কম আসে। রুদ্রের প্রধান বন্দুক ২০ মিমির, যেটা পাইলটের হেলমেটের সাথে যুক্ত। এরমানে পাইলট জেদিকে তাকাবে, সেদিকে ফায়ারিং হবে। এছাড়াও ৪৮ রকেট অথবা ৪ টি অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইলকে এই হেলিকপ্টারের সাথে যুক্ত করা যায়।
এর সেন্সার এতটাই কার্যকর যে, শত্রুপক্ষের র্যাডারকে অনেক দূর থেকেই ধরে নিতে পারবে। এরমধ্যে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমও লাগানো আছে। যাতে এই হেলিকপ্টারকে নিশানা করা মিসাইলের ব্যাপারে পাইলট আগেই জানতে পারবে আর তাঁর থেকে বাঁচার যথেষ্ট সময় পাবে। রুদ্র স্বদেশী অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুবের আর্মড ভার্সন। আর ভারতীয় পাইলটরা দীর্ঘদিন ধরে এই হেলিকপ্টারে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।
from India Rag https://ift.tt/2Zh0qbd
Bengali News