কাঠমান্ডুঃ নেপালের (nepal) রাজনীতিতে অস্থিরতার সময় চলছে। আর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) প্রধানমন্ত্রীত্ব যাওয়ার পথে। যদিও ওলি সহজেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত না। তিনি নিজের দিক থেকে পদ বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এবার পদ বাঁচাতে নতুন একটি পন্থা অবলম্বন করার চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি। নেপালি প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সাথে সাক্ষাৎ করে করোনার সংক্রমণ রোখার জন্য দেশে স্বাস্থ্য এমার্জেন্সি জারি করার দাবি তুলেছেন। যদি এই এমার্জেন্সি জারি হয়ে যায়, তাহলে ওলি আরও কিছুদিন প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। বিশেষ করে, যতদিন না এই এমার্জেন্সি তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সুত্র অনুযায়ী, নেপালের রাষ্ট্রপতি ভাণ্ডারী দেশে স্বাস্থ্য এমার্জেন্সি জারি করার পক্ষে নেই। তাঁর বদলে তিনি ওলিকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন যে, নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ আলোচনার মাধ্যমে দূর করতে। উনি এও বলেছেন যে, দেশের সেনাও দেশে স্বাস্থ্য এমার্জেন্সি জারি করার পক্ষে নেই।
আরেকদিকে নেপালের শাসক দলই নেপালি প্রধানমন্ত্রী ওলির বিরুদ্ধে হয়ে গেছে। দলের স্থায়ী কমিটির ৪৪ জনের মধ্যে ৩০ জনই প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ওলির পদ বাঁচাতে কোমর বেঁধে নেপালের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে চীন। নেপালে থাকা চীনের রাজদূত নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সাথে দেখা করে যে করেই হোক ওলিকে প্রধানমন্ত্রী পদে বানিয়ে রাখতে চাইছেন। যদিও এতে কোনও কাজি হচ্ছে না বলে দাবি সুত্রের।
নেপালের রাজনীতিরে বারবার নাক গলানো এবং প্রধানমন্ত্রী ওলির ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালানো চীনের রাজদূতের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে নেপালের জনতা। একদিন আগেই নেপালের ছাত্র সংগঠন চীনের রাজদূতের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখায়। তাঁরা চীনা রাজদূতকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, তিনি যেন ওনার আবাসেই থাকেন, দেশের নেতা আর মন্ত্রীদের বাড়িতে গিয়ে যেন দেখা না করেন।
from India Rag https://ift.tt/3gEsNGb
Bengali News