কঠিন সময়ে বোঝা যায় কে আপন, কে পর, কে সত্যিকারের দেশভক্ত কে দালাল। দেশ যখন সচল থাকে তখন সকলেই বড়ো বড় কথা বলে কিন্তু কঠিন সময়ে যে দেশের জন্য কাজ করে সেই ব্যাক্তিই আসল হিরো। হিন্দুদের মন্দির, শিখদের গুরুদুয়ারাগুলিও দানকার্যে ও সমাজের জন্য এগিয়ে এসেছে। দেশ যখন করোনার সাথে লড়াই করছে তখন সামর্থ্যবান লোকজন নিজের সামর্থ্যের হিসেবে লড়াই করার জন্য এগিয়ে আসছেন। ভারতে দু ধরনের লোকজন ডাইরেক্ট জনতার ভালোবাসা পেয়ে থাকে। এক হোল অভিনয় জগতের লোকজন দ্বিতীয়ত ক্রিকেটাররা। অভিনয় জগতের কথা বললে, বিভিন্ন অভিনেতার করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তহবিলে ও প্রধানমন্ত্রী তহবিলে দান করেছেন।
এর মধ্যে প্রমুখ রয়েছেন বাহুবলি সিনেমার মাধ্যম দেশে নিজের এক অন্য ছবি তৈরি করা প্রভাস। যিনি ৪ কোটি টাকা দেশের বিপদে দান করেছেন। এছাড়াও রয়েছেন পবন কল্যাণ যিনি ২ কোটি টাকা দান করেছেন। মহেশ বাবু ১ কোটি টাকা, আল্লু অর্জুন ১ কোটি ২৫ হাজার কোটি টাকা দান করেছেন। চিরঞ্জীবি ১ কোটি টাকা, রাম চরণ ৭০ লক্ষ টাকা দান করেছেন। এনারা বেশিরভাগ দক্ষিণ ভারতেই সিনেমা জগতে কাজ করেন। বলিউডের সাথে এই সমস্থ দানশীল অভিনেতাদের তেমন সংযোগ নেই বা ইচ্ছা করেই রাখেন না।
বলিউডের কথা বললে অক্ষয় কুমার ২৫ কোটি দান করেছেন। তবে বলিউডে সবথেকে বেশি নাম, খ্যাতি অর্জন করা তিন খানের মুখ এখনও দেখা মেলেনি। শাহরুখ, সালমান, আমির তিন জনেই দেশ থেকে প্রচুর টাকা অর্জন করেছেন। কিন্তু কেও এখনও ১ আনা দান করেননি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে বলেবহেন6, অমির খান তো দেশকে অসহিষ্ণু বলে গালাগালিও করেছিলেন, যারপরেও দেশ উনাকে মাফ করেছে।
কিন্তু এখন দেশের কঠিন সময়ে একটাও খানের দেখা মেলেনি। খানদের পুরো গ্যাং এখন অদৃশ্য হয়ে পড়েছে। সাইফ আলি খান যিনি সম্প্রতি খুব মিডিয়ায় চর্চায় থাকেন তিনিও কোথায় যেন হারিয়ে গেছেন। অবশ্য খান গ্যাং ও বলিউডের দালালরা টিভিতে এসে হাত ধোয়া শেখাতে নিত্য উপস্থিত হচ্ছেন। হাত ধোয়া শেখাতে ও জিম করা শেখাতে হাজির হওয়া বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেশের প্রতি কর্তব্য নিয়ে লাগাতার প্রশ্নঃ উঠছে।
from India Rag https://ift.tt/2xuZKDB
Bengali News