-->
Powered by Blogger.

Featured post

রুশ ইউক্রেনের টক্কর এখন অতীত! পাকিস্তানের মাটিতে পড়ল ভারতের সুপারসনিক মিসাইল

“বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট”-ভারতের (India) ডিফেন্স মিনিস্টার থেকে সম্প্রতি এক বার্তা আসার পর বিশেষজ্ঞরা একথা বলছেন। শুক্রবার পাকিস্তান...

Popular Posts

১৫২৮ সালে মসজিদ নির্মাণ থেকে ২০১৯ এ আদালতের শুনানি পর্যন্ত, অযোধ্যা মামলার সম্পূর্ণ ইতিহাস

- November 08, 2019

নয়া দিল্লীঃ সুপ্রিম কোর্ট শনিবার সকাল ১০ঃ৩০ নাগাদ অযোধ্যা মামলার সিদ্ধান্ত দেবে। আসুন দেখে নিই, কয়েক দশক ধরে চলা এই মামলায় কখন কি হয়েছে?

১৫২৮ সালে বাবরের কম্যান্ডার মীর বকি মসজিদের নির্মাণ করেছিল। ১৮৮৫ সালে মহন্ত রঘুবীর দাস ফৈজাবাদের জেলা আদালতে বিতর্কিত জমির বাইরে ছাদ গড়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে মসজিদের গুম্বজের নীচে রামলালার মূর্তি পাওয়া গেছিল। ১৯৫০ সালে গোপাল সিমলা বিশারদ রামলালার মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়েছিলেন। নির্মাহি আখাড়া আবেদন দাখিল করে বিতর্কিত জায়গা দখল করার দাবি করেছিল।

১৯৮৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিবাদিত স্থলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে বিজেপির নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীর নেতৃত্বে বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট ইসমাইল ফারুকির আবেদনের ভিত্তিতে বলেছিল যে, মসজিদ ইসলামের অভিন্ন অঙ্গ না। ২০০২ সালে বিতর্কিত জমিতে মালিকানার অধিকার নিয়ে HC তে শুনানি শুরু হয়। আট বছর পর ২০১০ সালে হাইকোর্ট ২ঃ১ অনুপাতে বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মাহি আখারা আরা রামলালার মধ্যে বণ্টন করে।

২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। ২০১৬ সালে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী সুব্রক্ষণ্যম স্বামী SC তে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে আবেদন জানান। ২০১৭ সালে প্রাক্তন চীফ জাস্টিস জেএস কেহর এই মামলা আদালতের বাইরে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট শুনানির জন্য ৩ সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করে। আরেকদিকে শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে মসজিদকে বিতর্কিত জমি থেকে দূরে কোথাও বানানোর কথা জানায়।

১লা ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ৩২ জন সমাজসেবী হাইকোর্টে একটি আবেদন দাখিল করে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট নাগরিক আবেদন গুলো নিয়ে শুনানি শুরু করে। ২০১৮ সালে আদালত সুব্রক্ষণ্যম স্বামীর সমস্ত আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৯৯৪ সালে সিদ্ধান্তের পুনর্বিচারের জন্য মুসলিম পক্ষের আইনজীবি রাজীব ধবন আদালতে আবেদন দাখিল করেন।

সুপ্রিম কোর্ট শেষ সিদ্ধান্তের জন্য ৫ জন বিচারকের বেঞ্চে এই মামলা ট্র্যান্সফার করার দাবি খারিজ করে দেয়। ২৯ অক্টোবর ২০১৮য় রোজ শুনানি হওয়ার কথা বলা হয়। ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি ২০১৯ এর জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৯ এ বিচারপতি ইয়ুয়ু ললিত নিজেকে শুনানি থেকে আলাদা করে নেন। রোজ শুনানির তারিখ ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায়।

২৫ জানুয়ারি ২০১৯ এ সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ সদস্যের নতুন বেঞ্চ গঠন করে। ওই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, জাস্টিস বোবড়ে, জাস্টিস চন্দ্রচুর, জাস্টিস অশোক ভূষণ আর জাস্টিস নজীর স্থান পান। ৬ই আগস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলা নিয়ে রোজ শুনানি শুরু হয়। অক্টোবর ২০১৯ এ শুনানি খতম হয়। এবার দেশ আগামীকালের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে।



from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/33uyQqJ
Bengali News
 

Start typing and press Enter to search