নুসরাত জাহান এর দুর্গাপুজা করাকে কেন্দ্র করে ইসলামিক মৌলবাদীরা আক্রোশ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি উনি নিজের স্বামীর সাথে দুর্গাপুজা প্যান্ডেলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তখন উনাকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ইমাম, মৌলবাদী ধর্মগুরু নুসরাতেকে হুমকি দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামিক জেহাদীরাও সক্রিয় হয়ে গালি গালাজ শুরু করে। অন্যদিকে যারা প্যান্ডেলে আজান শুনে খুশি হচ্ছিল তারাও হতাশ হয়ে পড়ে। এক ইমাম বলেন, ইসলামে আল্লাহ ছাড়া কারোর ইবাদত করা হারাম। নুসরত দুর্গাপুজা করে ইসলামের বিরোধিতা করেছে।
এখন আরো একবার মাথায় সিঁদুর নিয়ে দুর্গাপূজার ছবি পোষ্ট করেছেন নুসরাত জাহান। যা নিয়ে সমালোচনা করতে পুনরায় কট্টরপন্থীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উপদ্রব করতে নেমে পড়েছে স্বঘোষিত ইসলামের ঠিকাদাররা। নুসরাতকে গালাগালি করতে সবথেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। ভারতীয় সমাজ যথেষ্ট সভ্যতার সাথে নুসরাতকে সন্মান জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশি কট্টরপন্থীরা নুসরাতকে গালিগালাজ করতে নেমে গেছে।
কিছু বাংলাদেশি কট্টরপন্থী নুসরাতকে নাম পাল্টে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। নুসরাত নাম রেখে দুর্গাপুজা করা মানে ইসলামের অপমান বলে মনে করছে ইসলামিক কট্টরপন্থীরা। অন্যদিকে নুসরাত বলেছেন ‘যতই বিতর্ক হোক না কেন, তাতে আমি পাত্তা দিই না’ পরণে লালপাড় ঘিয়ে রঙের শাড়ি,মাথায় সিঁদুর ও অলঙ্কারে সুসজ্জিত হয়ে পাঁচজন বাঙালি হিন্দু ঘরের বধূ সেজে সিঁধুর খেলায় মেতেছিলেন নুসরাত জাহান।
এর আগে পূজো নিয়ে আরো বির্তক সামন্ড এসেছিল। আসলে কলকাতায় পরেশ পাল নামের এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে দুর্গাপুজা প্যান্ডেলে আজান বাজানো হয়েছিল। মা দুর্গার সামনে বাজিয়ে দেওয়া হয় আজান। এটা দেখে বামপন্থী, সেকুলার ও তথাকথিত উদারপন্থীরা খুশিতে মেতে উঠে। একমাত্র হিন্দুত্ববাদীরা ও মা দুর্গার ভক্তরা এই ঘটনার নিন্দা জানায়। কারণ দেবী দুর্গার সামনে আজান বাজানোর অর্থ মা কে অপমান করা। আজানে বলা হয় যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছু ঈশ্বর নেই। মা দুর্গার সামনে আজান বাজানোর অর্থ সরাসরি মা কে অপমান করা।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2q1YHHu
Bengali News