আজ মহান দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিং এর জন্মদিন। আজ দেশের সমস্থ নাগরিক উনাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন।
এই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছেন এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে বড়ো মন্তব্য করেছেন। নরেন্দ্র মোদী টুইট করে লিখেছেন যে “শহীদ ভগত সিংয়ের নাম বীরত্ব ও ত্যাগের সমার্থক। তাঁর সাহসী ক্রিয়া লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তরুণদের মনে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় আইকন। আমি ভারত মাতার এই মহান পুত্রকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে প্রনাম জানাই। ‘
ভগত সিং অমৃতসরের জলিয়ানওয়ালাবাগের রক্তাক্ত মাটি দিয়ে ব্রত করেছিলেন যে তিনি অবশ্যই নিরীহ ভারতীয়দের হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
জানিয়ে দি, ভগত সিং ফাঁসিতে যাওয়ার আগে দেশের যুবকদের কাছে কিছু অনুরোধ করেছিলেন। এক সাংবাদিকের কাছে লাহোরে ভগত সিং তার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেছিলেন। যা আজও পূরণ হয়নি। ভগত সিং বলেছিলেন দেশ স্বাধীন ১৫ বছরের মধ্যেই হয়ে যাবে, তারপর যেন ইংরেজদের ব্যাবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়। উদাহরনসরূপ, ভারতে পুলিশ ব্যাবস্থা ইংরেজরা করেছিল ১৯৬০ সালে যাতে ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে উঠা বিদ্রোহগুলিকে দমন করা যায়। তখন ইংরেজ সরকারের পুলিশ ভারতীয়দের অত্যাচার করতো, লাঠিচার্জ করতো। আজও পলিশের সেই রূপ পরিবর্তন হয়নি। আজও নানা জায়গায় ভারতের পুলিশ, ভারতের জনগণকেই লাঠিচার্জ করে। কারণ আইনের পরিবর্তন হয়নি। পুলিশ লাঠিচার্জ করতে পারে কিন্তু জনগণ নিজের সুরক্ষায় জন্য কিছুই করতে পারে না। এই সমস্থ ইংরেজদের তৈরি আইনকে ভারত থেকে উপড়ে ফেলার কথা বলেছিলেন ভগত সিং। যা এখনও পূর্নতা পাইনি। আজও ভারত ভাষাগত ভাবে, ব্যাবস্থাগতভাবে ইংরেজদের গোলামী করছে যা অত্যন্ত লজ্জার।
১৯২০ সালে, গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং দেশবাসীকে সরকারী বিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার এবং সরকারী কর্মচারীদের তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯২১ সালে গান্ধীজির ডাকে ডি.এ.ভি.- স্কুল ছেড়ে লাল রাজপথরায় দ্বারা লাহোরে স্থাপিত ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন।এই কলেজে আসার পরে, ভগত সিং যশপাল, ভগবতী চরণ, সুখদেব, রামকিশন, তীর্থরাম, ঝন্দ সিংহের মতো বিপ্লবী সহকর্মীদের সংস্পর্শে আসেন। কলেজে লালা লাজপত রায় এবং পরমানন্দের মতো দেশপ্রেমের বক্তৃতা দেশপ্রেমের এক দুর্দান্ত অনুভূতির সঞ্চার করেছিল । কলেজের অধ্যাপক ড বিদলঙ্কর ভগত সিংয়ের প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল। আসলে অধ্যাপক ড: জয়চাঁদ বিদ্যালঙ্কর ছিলেন ভগত সিংয়ের রাজনৈতিক গুরু। ভগত সিং তাঁর নির্দেশনায় দেশপ্রেমিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
সেই সময়েই, বাড়ির লোকেরা যখন ভগত সিংকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়, তখন তিনি এই বিবাহের প্রস্তাবকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যখন অনেক চাপ দেওয়া হয় তখন, দেশপ্রেমিক ভগত সিং ১৯৪৪ সালে দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য পূরণের জন্য পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখে কলেজ থেকে পালিয়ে যান । তারপরে তিনি দেশপ্রেমিকদের সাথে, স্বাধীনতা আন্দোলনে একত্র হয়েছিলেন। কলেজ থেকে পালানোর পরে, ভগত সিং সুরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, বটুকেশ্বর দত্ত, অজয় ঘোষ, বিজয় কুমার সিনহার মতো বিখ্যাত বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। এর সাথেই ভগত সিং উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের বিপ্লবী যুবকদের সংগঠিত করা শুরু করেছিলেন।
ভগত সিংয়ের পরিবারের সদস্যরা অনেক বিবেচনার পরে ভগত সিংকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে, তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ দেওয়া হবে না। পরিবারের লিখিত প্রতিশ্রুতি এবং দিদার অসুস্থতার সংবাদ ভগত সিংকে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল। বাড়িতে আসার পরে তিনি পাঞ্জাব জুড়ে ঘুরে বেড়ান এবং সমাজের সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করেন। ১৯২৫ সালের আকালী আন্দোলন ভগত সিংকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছিল। ব্রিটিশ সরকার একটি মিথ্যা মামলা তৈরি করে এবং ভগত সিংয়ের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ভগত সিং পাঞ্জাব থেকে লাহোর পৌঁছে ক্রান্তিকারী গতিবিধির ব্রিটিশ কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ব্রিটিশ সরকারকে নাজেহাল করে দিয়েছিলেন।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2mDpAAi
Bengali News