আরো একবার সময়ের কালচক্রে পুরো ভারতে এবং সাথে সাথে বিশ্বে হিন্দুত্বের প্রকাশ ঘটতে শুরু হয়েছে। ভারতেও এখন অখন্ড ভারত নির্মাণের চর্চা শুরু হয়েছে। অখন্ড ভারত নির্মান করতে হলে হিন্দুত্বকে তার চরম সীমায় পৌঁছাতে হবে। আর সম্ভবত সেই পথেই অগ্রসর হচ্ছে ভারত। যদিও ভারতের সামনে যে বাধাগুলি আছে সেগুলির দিকে দৃষ্টি দিলে লক্ষ খুবই কঠিন মনে হবে। তবে সময়ের সাথে সাথে সব পরিবর্তন সম্ভব। এর আগেও অনেকবার ভেঙে পড়া ভারতকে এক করে দেখিয়েছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। পন্ডিত চাণক্য পুরো ভারতকে এক করে অখন্ড সোনার ভারত গঠন করেছিলেন। এখন আবার সেই লক্ষ্যে পূরণে নেমেছে রাষ্ট্রবাদী ভারতীয়রা।
তবে শুধু ভারত থেকে নয়, ৩৭০ ধারা অপসারণের পর পাকিস্তান থেকেও অখন্ড ভারতের সাড়া শব্দ শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তানি কট্টরপন্থীরা অখণ্ড ভারতের নাম শুনেই কেঁপে উঠেছে। পাকিস্তানের পার্টি জামাতে ইসলামীর দাবি, ভারত অখন্ড ভারত নির্মানের দিকে পা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ মুছে দেওয়া মোদী সরকারের অখন্ড ভারত নির্মানের দিকে অগ্রসর হওয়া বলে দাবি জামাতে ইসলামী পার্টির। জামাতে ইসলামি পার্টির নেতা ইসলামিক সুরে বলেছেন, এই ঘটনা কাশ্মীরকে কারবালার ময়দান করে দিয়েছে।
‘রোজনামা দুনিয়া’ রিপোর্ট অনুসারে, হুরিয়াত নেতাদের সাথে কথোপকথনের সময় জামাত-এ-ইসলামের নেতা সিরাজ উল হক বলেছিলেন, “কাশ্মীরে কেয়ামত এসে গেছে। হক কাশ্মীরের মামলার প্রেক্ষাপটে কিছু বিতর্কিত দাবি করেছেন।” তিনি বলেছেন যে পাকিস্তানের সিমলা চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণা বাতিল করা উচিত। নিয়ন্ত্রণ রেখার বেড়াটি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত এবং পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘকে কাশ্মীরে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানাক। কাশ্মীরের মামলায় পাকিস্তানের নেতাদের মধ্যে মন্তব্য করার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। এই প্রতিযোগিতায় অনেক উদ্ভট বক্তব্যও আসছে।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2LjPjr4
Bengali News