-->
Powered by Blogger.

Featured post

রুশ ইউক্রেনের টক্কর এখন অতীত! পাকিস্তানের মাটিতে পড়ল ভারতের সুপারসনিক মিসাইল

“বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট”-ভারতের (India) ডিফেন্স মিনিস্টার থেকে সম্প্রতি এক বার্তা আসার পর বিশেষজ্ঞরা একথা বলছেন। শুক্রবার পাকিস্তান...

Popular Posts

ISRO বনাম NASA: A-SAT ইস্যুতে শেষমেস ISRO এর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলো NASA?

- April 12, 2019

NASA বনাম ISRO এর বিতর্ক শেষমেষ সমাপ্ত হলো। অনেকবার ভন্ডামির পর এখন শেষমেষ ইউটার্ন নিতে বাধ্য হলো NASA তথা আমেরিকান স্পেস এজেন্সি। জানিয়ে দি কিছুদিন আগে ISRO (ইসরো) মহাকাশে আন্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের সফল পরীক্ষণ সম্পন্ন করেছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বহু ভেবেচিন্তে এই পরীক্ষণ লো ওরবিটে করেছিল। যাতে ৪৫ দিনের মধ্যে স্যাটেলাইটের টুকরো টুকরো অংশ পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের সাথে সংঘর্ষ করে শেষ হয়ে যায়। ভারতের এই পরীক্ষণ এতটাই সফল এবং দায়িত্বপূর্ন ছিল যে পাকিস্থান ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশ এই ইস্যুতে মুখ খোলেনি। পুরো বিশ্ব এই ইস্যুতে নিউট্রাল ছিল, এমনকি আমেরিকার পেন্টাগন পর্যন্ত ভারতের সমর্থনে বার্তা দিয়েছিল। পেন্টাগন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাথে সুর মিলিয়ে জানিয়েছিল যে Space debris গুলি ৪৫ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে।

আমেরিকা সহ বাকি দেশগুলির ডিপার্টমেন্ট ভারতের এন্টিস্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে কোনো সমালোচনা করেনি। কিন্তু NASA কোনো দেশের উন্নয়ন, বিশেষ করে ভারতের উন্নয়ন একদমই পছন্দ করে না এটা সকলের জানা। আর সেই মতো NASA এর এডমিনিস্ট্রেটর Jim Bridenstine ভারতের এন্টি স্যাটেলাইট নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দেন। জিম ব্রিডেন্সটিন(Jim Bridenstine) বলেন, ভারত যেটা করেছে সেটা পৃথিবীর জন্য খুবই ভয়ঙ্কর।

ভারতের পরীক্ষণ এর ফলে Space debris তথা স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষগুলি আপার অর্বিটে পৌঁছে গিয়ে ISS (international space station) এর ক্ষতি করবে। অবশ্য NASA এর এডমিনিস্ট্রেটর কিছু না ভেবেই এই মন্তব্য করেছিল। স্প্রেসে সবথেকে বেশি জাঙ্ক আমেরিকা ও রাশিয়া করে রেখেছে যা পরিষ্কার না করেই ভারতকে নিয়ে মন্তব্য দিয়েছিল। NASA তাদের এই মন্তব্যের পর ISRO কে একটা চিঠি পাঠিয়েছিল এবং ISRO কে অসহযোগিতার করার হুমকি দিয়েছিল।

যাইহোক এখন পুরো ঘটনা পাল্টি খেয়ে গেছে এবং NASA তাদের ভুল পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে। সূত্রের খবর এই যে, এখন NASA আবার একটা চিঠি ISRO কে পাঠিয়েছে এবং সহযোগিতা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে। আসলে NASA আমেরিকার হলেও তারা একটা স্বতন্ত্র হিসেবে কাজ করে। কিন্তু NASA এর ভুল মন্তব্যের পর খবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের কান অবধি পৌঁছায়। পরিস্থিতি তখন আরো বিগড়ে যায় যখন NASA এর তরফ থেকে ISRO তে চিঠি আসে। এরপর আমেরিকার প্রশাসন NASA এর উপর কার্যবাহী শুরু করে। খবর এটাও আসছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন NASA কে চিঠি প্রেরণ করার জন্য ধমকি দিয়েছে।

NASA সেই কাজ করে দিয়েছে যেটা আমেরিকার বিদেশমন্ত্রণালয়ের হাতে থাকে। এর ফলস্বরূপ আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্কে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। জানিয়ে দি, NASA এর এডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেন্সটিন একজন পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। এমনিতে NASA এর এডমিনিস্ট্রেটর স্পেস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে হয়ে থাকে কিন্তু ইনি একটু অন্য ধরনের। যার জন্য ইস্যুকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে না লক্ষ করে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে শুরু করে দেন।



from India Rag Bengali : Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Bangla Khobor, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2P6FDAh
Bengali News
 

Start typing and press Enter to search