বেশ কয়েকদিন ধরে রাজীব কুমার আর মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে উত্তাল রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি। সিবিআই এর কাছে সারদা মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাট করায় অভিযুক্ত ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তথা কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। আর সেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সাথে বাড়িতে দেখা করতে গিয়েই কলকাতা পুলিশ অফিসারের হাতে হেনস্থা হতে হয় সিবিআই এর আধিকারিককে।
আর কলকাতা পুলিশের কমিশনারের বাড়িতে হঠাৎ সিবিআই এর কর্তার উপস্থিতির প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলা ধর্নায় বসেন পুলিশ মন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জী। তিনদিন পর সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরালে ধর্না তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে নিজের নৈতিক জয় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ওনার নৈতিক জয় হল, না সিবিআই এর জয় হল সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ সিবিআই এর কর্তারা সারদা মামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন দলের হেড কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে বার বার তলব করা স্বত্বেও উনি সিবিআই এর মুখোমুখি হতে চাননি।
সিবিআই চেয়েছিল ওনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সারদা মামলা নিয়ে জড়িত সব তথ্যের খোঁজ নিতে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই রাজীব কুমারকে সিবিআই এর সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়। আর ওনাকে এবার কলকাতা না, শিলংয়ে গিয়ে সিবিআই এর সন্মুখিন হতে হবে। সিবিআই যেটা চেয়েছিল সেটাই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে মমতা ব্যানার্জীর নৈতিক জয় কোন দিক থেকে হল সেটা বলা মুশকিল।
এবার রাজীব কুমারের পর আরেকজন দুর্নীতিগ্রস্তের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। না এবার আর কোন কলকাতা পুলিশ অফিসার অথবা তৃণমূলের নেতা না। এবার উনি দাঁড়ালেন জমি মাফিয়া নামে খ্যাত গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট বডঢ়ার পাশে।
ইডি লন্ডনে অবৈধ জমি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবার্ট বডঢ়া কে ডেকে পাঠিয়েছিল বুধবার। টানা ছয় ঘন্টা ওনাকে জেরা করেছিল ইডি। এমনকি আজও ওনাকে ম্যারাথন জেরা করছে ইডি। রবার্ট এর উপর অভিযোগ যে, উনি দেশে থেকে কংগ্রেস আমলে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সাথে দালালি করে সেই টাকায় লন্ডনে বিশাল সম্পত্তি করেছেন।
আর সেই সম্পত্তি সমন্ধ্যে জানার জন্য ওনাকে ডেকে পাঠায় ইডি। তাছাড়াও দেশের বিভিন্ন যায়গায় ওনার নামে গরীব কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া অথবা একদম জলের দরে জমি কেনার অভিযোগ তো আছেই। যেহেতু তিনি গান্ধী পরিবারের জামাই। এবং কংগ্রেস সভাপতির বোনের জামাই। তাই ওনাকে এতদিনেও কিছু করা যায়নি।
সেই রবার্টের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেছেন যে, রবার্টকে জেরা করা হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। বিরোধীরা যাতে জোট না গড়তে পারে, সেই জন্যই রবার্টকে ফাঁসাতে চাইছে। উনি এও বলেন যে, এরকম প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি করে জোটকে আটকানো যাবেনা। উনি এই নিয়ে কেন্দ্রকে চরম হুঁশিয়ারি ও দেন।
তবে বার বার একটাই কথা উঠে আসছে যে, মমতা ব্যানার্জী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে বার বার দুর্নীতিতে অভিযুক্তের পাশেই কেন দাঁড়াচ্ছেন?
from India Rag Bengali : Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Bangla Khobor, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2HYpkFN
Bengali News