শীঘ্রই ভারতীয় সেনায় সামিল হতে চলেছে আপাচি হেলিকপ্টার। এটা শুধু হেলিকপ্টার নয়, এটা পুরো অস্ত্রভান্ডারের প্যাকেজ যার নাম শুনেই পাকিস্থান ও চীনের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু হয়েছে। এটা সেই হেলিকপ্টার যার দ্বারা আমেরিকা দেশ ইরাক ও আফগানিস্তানের উপর দাপট জমিয়ে রেখেছিল। ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এবং ১৮ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এই হেলিকপ্টার উড়ানের জন্য ২ জন পাইলট অবশ্যই প্রয়োজন। আপাচি হেলিকপ্টারের বড় উইংকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুই ইঞ্জিন এই হেলিকপ্টারের মধ্যে লাগানো থাকে। বড় ইঞ্জিন থাকার দরুন এই হেলিকপ্টারের গতিবেগ খুব বেশি থাকে। এই হেলিকপ্টারের গতিবেগ ২৮০ কিমি/ ঘন্টা থেকে ৩৬৫ কিমি/ ঘন্টা। আপাচি হেলিকপ্টারের ডিজাইন এমনভাবে করা হয় যে এটাকে রাডারে ধরে ফেলা খুবই মুশকিল কাজ। আপাচি হেলিকপ্টার বর্তমান সময়ের সবথেকে এডভান্স আক্রমক হেলিকপ্টার।
এই হেলিকপ্টার ১৬ আন্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল ছাড়তে সক্ষম এবং হেলিকপ্টারের নিচে লাগানো রাইফেল থেকে এক এক বারে ৩০ mm এর ১২০০ গুলি ঢোকানো যেতে পারে। আপাচি হেলিকপ্টারের ফ্লাইং রেঞ্জ প্রায় ৫৫০ কিমি এবং একবারে পৌনে ৩ ঘন্টার উড়ান এই হেলিকপ্টার দিতে পারে। বড় বড় যুদ্ধ ক্ষেত্রে বা অপারেশন এর জন্য এই ধরণের হেলিকপ্টার ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। গতি ও ক্ষমতায় এই যান সর্বশক্তিমান হওয়ায় শত্রুপক্ষের বেশ বড়োরকমের ক্ষতি করতে সক্ষম হয় আপাচি হেলিকপ্টার।
কুয়েতের উপর আক্রমণ করার সময় এবং ইরাকের উপর অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রম চালানোর জন্য এই হেলিকপ্টার ব্যাবহার করা হয়েছিল। সামরিক বাহীনি ও ট্যাঙ্কের সাহায্য করার জন্য এই হেলিকপ্টার ওস্তাদ। ট্যাঙ্ক ও সামরিক বাহিনী যাওয়ার আগে আগে এই হেলিকপ্টার উড়িয়ে দেওয়া হয় এবং শত্রুদের ট্যাঙ্ক ও সামরিক বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেওয়া হয়। মরুভূমি হোক বা অর্ধমরুভূমি সমস্ত এলাকায় এই হেলিকপ্টার শত্রুপক্ষের মেরুদন্ড ভেঙে দিতে সক্ষম।
বোয়িং কোম্পানি ২০১৯ সালেই ভারতকে এই হেলিকপ্টার প্রদান করবে যারপর ভারতের শক্তি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। ভারত এতদিন যে হেলিকপ্টার ব্যাবহার করছে সেগুলি বর্তমান সময়ে পুরানো হয়ে পড়েছে তাই মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই বিশ্বের সবথেকে এডভান্স হেলিকপ্টার কেনার সিধান্ত নিয়েছিল যার আর কিছুমাসের মধ্যে ভারতের সেনায় সামিল হতে চলেছে।
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2FIqOSO
Bengali News