কোনো সরকার যদি সমাজের এক বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করে এবং ওপর সম্প্রদায়কে অদেখা করে তাহলে সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। বিশেষ করে যদি হিন্দুবহুল ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়কে খুশি করার জন্য হিন্দুবিরোধী কাজ করা হয় তবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়বে এটা বাস্তবিক সত্য। কিন্তু যদি সরকার সংখ্যাবহুল হিন্দুদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে তবে সেটা সমাজের শান্তি বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত পথ হবে। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার রাজ্যে শান্তি শৃঙ্গলা বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত পথকেই বেছে নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার একদিকে যেমন কট্টরপন্থীদের দমনের কাজ শুরু করেছে তেমনি অপরদিকে সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে বিভেদ না হয় তার দিকে নজর দিতে শুরু করেছে।
উত্তরপ্রদেশে এখন কুম্ভ মেলার আনন্দ চারিদিকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এই কুম্ভ মেলা বিশ্বের সবথেকে বড় মেলা, এই মেলার আয়োজনে এত বিশাল সংখক মানুষ আসেন যা মক্কা আর ভ্যাটিকানকে মিলিয়েও আসে। এই মেলায় বহু কোটি হিন্দু একত্র হয় যার জন্য ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির নজর এই মেলার উপর থাকে। তবে যোগী সরকার হিন্দুদের সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করার জন্য সবরকম বন্দোবোস্ত করেছে।
কুম্ভমেলার চর্চা এখন দেশ বিদেশ সর্বত্র হচ্ছে, তবে এই কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা সামনে এসেছে যা পুরো ভারত সমাজের দৃষ্টিকোনকে শক্তিশালী করেছে। আসলে কুম্ভমেলায় মুসলিম নামজিরা সাম্প্রদায়িক একতার একটা বড় উদাহরণ উপস্থাপন করেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা হাসিব আহমেদের নেতৃত্বে রেল স্টেশনে আগত হিন্দু তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানাই এবং হিন্দুদের উপর ফুল বর্ষণ করে। মুসলিম সম্প্রদায় দ্বারা এমন স্বাগতভাব দেখে হিন্দুরা খুবই খুশি ব্যাক্ত করেছে। এছাড়াও মসজিদের পাশ দিয়ে যেসব হিন্দুরা পাশ হচ্ছিল সেখানেও মসজিদ থেকে ফুল বর্ষণ করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
লক্ষণীয় বিষয় এই যে, অখিলেশ ও মায়াবতীর আমলে উত্তরপ্রদেশ এমন একটা রাজ্য ছিল যেখানে প্রায় দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শোনা যেত। এমনকি আগের সরকারের আমলে পশ্চিমি উত্তরপ্রদেশের বহু স্থান থেকে হিন্দু পলায়নের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু যোগী আমলে উত্তরপ্রদেশে একটা আলাদা ছবি সামনে আসছে যা ভালো ভবিষ্যত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2HHSMjw
Bengali News