হিন্দু সমাজ জাতিগতভাবে ভেঙে যাওয়া ভারতে হিন্দুদের কেমন দুর্দশা এসেছে তার জলজ্যান্ত প্রমান আবার সামনে এলো। দিল্লীর গীতা কলোনিতে থাকা ৬০ বছরের পুরানো দূর্গা মন্দিরকে ভিত্তিহীন কারণ দেখিয়ে ভেঙে ফেললো কেজরিওয়ালের সরকার। কেজরিওয়ালের সরকার দাবি করেছে এই মন্দিরের জন্য প্রযুক্তিগত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তাই মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। মন্দিরের একটু পাশেই একটা মসজিদ রয়েছে কিন্তু সেই মসজিদে হাত পর্যন্ত দেওয়ার সাহস করেনি কেজরিওয়াল। কিন্তু বুলডজার লাগিয়ে ৬০ বছর পুরনো দুর্গা মায়ের মন্দির ভেঙে দিলো কেজরিওয়াল। মন্দির ভাঙার পর মন্দিরের মধ্যে থাকা মূর্তিকে অন্যত্র রাখা তো দূর সেই মুর্তিগুলোকে আবর্জনার সাথে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে দি কেজরিওয়াল নাম টা শুনতে হিন্দুদের মতো লাগলেও কেজরিওয়াল অনেক বছর আগেই ধৰ্ম পরিবর্তন করে খ্রিষ্টান ধৰ্ম গ্রহণ করেছে। এরপর বহুদিন NGO এর আড়ালে ধৰ্মপরিবর্তনকারী সংস্থাগুলির সাথে কাজ করে রাজনীতিতে নেমেছিল। পরশুদিন হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া সুদর্শন চ্যানেলের সাংবাদিক সুরেশ চৌহান জানিয়েছিল যে কেজরিওয়াল গীতা কলোনির মন্দির ভাঙতে চলেছে। সুরেশ চৌহান হিন্দুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মন্দিরভাঙা আটকানোর জন্য এক হয়ে গীতা কলোনিতে প্রতিবাদ জানাতে।
কিন্তু সমস্ত হিন্দু নিজের জাতপাত ভেদাভেদ ও নিজের।স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত। তাই কেজরিওয়াল সেই সুযোগে দুর্গামন্দির ভেঙে মূর্তি আবর্জনার ফেলে দিয়েছে। দিল্লিতে প্রতিদিন অবৈধভাবে বিশাল সংখ্যায় চার্চ ও মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে সেখান কেজরিওয়াল টু শব্দ করে না কিন্তু হিন্দু মন্দিরের বেলা কেরজিওয়াল প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে ভেঙে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিচ্ছে।
তবে এই সমস্থকিছুর জন্য শুধু কেজরিওয়াল দোষী নয়, এর জন্য দায়ী হিন্দুদের জাতপাত, একতার অভাব। হিন্দুদের একতার অভাবের জন্যই রাজনৈতিক দলগুলি অন্য সম্প্রদায়কে তোষণ করার সাহস পায়। জানিয়ে দি দেশের কোনো দালাল মিডিয়া এই সমস্থ নিয়ে কথা বলবে না কারণ সেটা তাদের কাছে সাম্প্রদায়িক বলে মনে হয়।
from India Rag : Bengali News, 24 Ghanta, Bangla News, Ebela, Eisamay, Kolkata News, খবর , https://ift.tt/2CIZDEX