বক্তব্যের যুক্তি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের এক সাম্প্রতিক রায়কে তুলে আনেন আসাদউদ্দিন। গুজরাট দাঙ্গার সময় যে ধর্মস্থানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার মেরামতির জন্য আলাদা করে সরকারকে টাকা দিতে নিষেধ করেছিল সর্বোচ্চ আদালত। আসাদউদ্দিনের প্রশ্ন, যখন দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় ধর্মস্থান সম্পর্কে সরকারের মনোভাব ঠিক কী হওয়া উচিত দেখিয়ে দিচ্ছে, তখন যোগী কেন বিরূপ আচরণ করছেন? কেন মানুষের করের টাকায় ধর্মীয় বিগ্রহ তৈরি করা হচ্ছে? তাঁর দাবি, এ কাজ করে আসলে সুপ্রিম কোর্টেরই অবমাননা করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।এদিকে তাজমহল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। সদ্য সে আগুনে ঘি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম। তাঁর দাবি, তাজমহল তৈরি করেছিলেন বিশ্বাসঘাতক। সুতরাং এ সৌধ ভারতের বুকে কলঙ্ক। এ মন্তব্য নিয়েই দেশ জুড়ে শোরগোল। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ আসাদউদ্দিন বলেন, এ কথা তো ইউনেসকোকে বলা উচিত, যাঁরা তাজমহলকে সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম বলে আখ্যা দিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, মোদি ও যোগী কি পর্যটকদের তাজমহল দেখতে বারণ করবেন? যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, লালকেল্লাও তো তাহলে ওই তথাকথিত বিশ্বাসঘাতকদের হাতে তৈরি। সেখানে কেন জাতীয় পতাকা ওড়ে? তিরঙ্গার উড়ান কি তাহলে বন্ধ করে দেবেন মোদি? প্রশ্ন আর পালটা প্রশ্নে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এর মধ্যে তাজমহলের ভবিষ্যত যে কী তা নিয়ে বেশ ধন্দেই আছে দেশবাসী।
রামের মূর্তি কেন জনগণের করের টাকায় ,যোগীকে প্রশ্ন আসাদউদ্দিনের
