আসানসোল-সামনাসামনি মিষ্টিমধুর সম্পর্ক। কিন্তু আড়ালে কটাক্ষের রাজনীতি জারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। ঝালমুড়ি বিতর্কের পর দলের মধ্যে ও বাইরে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে অবস্থান বদল করতে বাধ্য হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল। তাই ২১ জুলাই শহিদ দিবসকে কটাক্ষ, বসিরহাট ইস্যুতে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তোলা, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুসলিম তোষণকারী হিসাবে তোপ দাগা, নানান সময়ে হরেক ইস্যুতে সরব ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু এবার রেড রোডে শারদ কার্নিভাল নিয়ে ফের মমতাকে নিশানা সাধলেন বাবুল। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, ‘মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন আটকেছিলেন, এবার সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন।’ কার্নিভালকে প্রশংসা করলেও এর উদ্দেশ্যকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না বাবুল তা তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
এর আগেও বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও একাধিকবার বিষোদ্গার করেছেন। এদিনও সেই মেজাজেই ছিলেন বাবুল। অভিযোগ তোলেন, পুজোয় বেশ কিছু কমিটির কাছ থেকে যেমন উদ্বোধনের আমন্ত্রণ ছিল তেমনই বহু নেতার কাছে থেকে হুমকিও পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগের তির তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে। দাবি করেন, তৃণমূলের নেতাদের পুজোয় না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু যথাসাধ্য চেষ্টা করে অধিকাংশ জায়গায় আমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন। হুমকি উপেক্ষা করেই। তাঁর বক্তব্য, ‘নেতাদের পুজোয় এত অপব্যয়! এই টাকা কোনও গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করলে সমাজের ভাল হত।’
কার্নিভালকে সাধু উদ্যোগ জানিয়ে বাবুল বলেন, ‘একসঙ্গে ৬৮টি পুজো মানুষ দেখতে পারবেন। অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। তবে কোনও ছুটির দিন দেখে করলে আরও ভাল হত। আজ পুজোর ছুটি কাটিয়ে সবাই কাজে ফিরেছেন। স্বভাবতই সবাই এই কার্নিভালে অংশ নিতে পারবেন না। রাস্তাঘাটেও যানজট হবে।’ তবে মহরম ও বিসর্জন ইস্যু এবং তারপর এই কার্নিভালকে মমতার পাপস্খলনের প্রয়াস বলে ফের বিতর্ক বাড়ালেন বাবুল, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।