আসানসোল:পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালএর নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরএর ভবিষ্যত আশা-নিরাশায় দুলছে।তারই মধ্যে শিল্পাঞ্চলএ আরো একটা বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক উড়ান চালু হতে চলেছে।বার্নপুরে ইস্কোএর নিজস্ব বিমান অবতরণ কেন্দ্র থেকে নভেম্বরেই ছোট বিমান উঠা নামা করবে।ইস্কো সূত্রে খবর,বেঙ্গালুরুর ডেকান চার্টার্ড প্রথম পর্যায়ে এখানে ১৬ আসনের বিমান চালাবে।দেশের ছোট শহর গুলি কে বিমান পথে জোড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে অসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তর।মূলত পরিকাঠামোগত কারণেই বার্নপুর কে বাছা হয়েছে।বার্নপুরে ইস্কো এর নিজস্ব ছোট বিমান বন্দর রয়েছে।অতীতে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ,কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতো ভিআইপিরা এই বিমান বন্দর ব্যবহার করেছেন।ইস্কোর জনসংযোগ আধিকারিক ও প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত,'আপাতত নভেম্বর থেকে ডেকান চার্টার্ড সংস্থা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ১৬ টি আসনের বিমান চালাবে বলে ঠিক হয়েছে।কলকাতা কে কেন্দ্র করে বিমান উড়বে।প্রাথমিকভাবে কলকাতা-বার্নপুর,বার্নপুর-কোচবিহার-কলকাতা,বার্নপুর-বাগডোরা, বার্নপুর-জামসেদপুর-কলকাতা রুটে বিমান চালাবে বলে প্রাথমিকভাবে ওরা জানিয়েছে।এর জন্য দ্রুত পরিকাঠামোর কাজ করছে ইন্ডিয়াআন এয়ারলাইন্স।পুরো প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র।প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে।' বিমানবন্দরে ইস্কোর নিজস্ব এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগ রয়েছে।তবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য আরো একটা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম তৈরী করা হচ্ছে।জ্বালানি ভরার জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।তাছাড়া যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও পাইলট বিশ্রামাগার তৈরির কাজ চলছে।ইস্কোর এক জেনারেল ম্যানেজার বলেন,এখানে সেলের নিজস্ব বিমান উঠা নামার ব্যবস্থা রয়েছে, সেইজন্য খুব বেশি অসুবিধা নেই।এখানে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।ডেকান চার্টার্ড সংস্থার এক জন সম্প্রতি এখানে ঘুরে দেখে গিয়েছেন।জানা গিয়েছে ছোট বিমানের ভাড়া কম রাখার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।ফেডারেশন সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এর সম্পাদক সুব্রত দত্ত বলেন,' বার্নপুরে বাণিজ্যিক বিমান চালু হলে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষদের লাভ হবে।বাণিজ্য অনেক মসৃণ হবে।'যদিও ব্যাবসায়িক দিক থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।বেশ কয়েকবার ওখানে বিমান চালু হলেও যাত্রীর অভাবে ওই বিমান বন্দর লাভবান হয়নি।সাম্প্রতিক অতীতে জুম এয়ার ৫০ আসনের বিমান চালালেও ,তাও এখন বন্ধ।এই পরিস্থিতিতে বার্নপুরে বিমান চালিয়ে কতটা লাভ হবে তা সময়ই বলবে।
Source-Ei Samay
Source-Ei Samay